অগত্যা চাকুরী গ্রহণ করে একদিকে আত্মগোপন এবং অন্যদিকে টিকে থাকার মত অর্থ-সংস্থান করাকেই সমীচিন বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু ইসলাম প্রচারের কাজ ‘বন্ধ করতে হবে বলে আমার মন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের দোলায় দুলতে থাকে।
সরকারী প্রচার বিভাগে চাকুরী ফেলে হয়তো কোন না কোন প্রকারে ইসলাম প্রচারের কাজও চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে, এই আশায় শেষ পর্যন্ত উক্ত বিভাগে চাকুরী লাভের চেষ্টা করতে থাকি। রাহমানুর রাহীমের অনুগ্রহ পেয়েও যাই এবং ১৯৪৬ সালের শে দিকে অন্যতম মহকুমা প্রচার কর্মচারী হিসাবে মালদহ জিলায় চাকুরীতে যোগদান করি। নানারূপ প্রতিবন্ধকতা এবং চাকুরী হারানোর ঝুঁকি নিয়েও সুযোগ পেলেই পাকিস্তন-পূর্ব সময়টাতে গোপনে গোপনে ইসলাম প্রচারের কাজ চালিয়ে যেতে থাকি। উল্লেখ্য যে এ ব্যাপারে মালদহের ধর্মভীরু মুসলমানদের যথেষ্ট সহযোগিতা আমি পেয়েছি। অন্যথায় শিখ জিলা ম্যাজিষ্ট্রেট, কশারী এস.ডি.ও. গাঙ্গুরী এস.পি প্রভৃতির চোট সামলানো কোনক্রমেই আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠতো না।
পাকিস্তান আর্জিত হওয়ার পরে বাধা প্রতিবন্ধকতা বহুল পরিমাণে হ্রাস পেলেও চাকুরীর দায়িত্ব বেড়ে যাওয়ায় আশানুরূপভাবে ইসলাম প্রচারের কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তবে রাজশাহীর মুসলমানগণ স্বভাবতই ধর্মপ্রাণ বিধায় বহু ধর্মসভার অনুষ্ঠান তাঁরা করে থাকেন; আর নও-মুসলিম হিসাবে আমার প্রতি একটি বিশেষ আকর্ষণও তাঁদের ছিল। তাই প্রায় প্রতিটি ধর্মসভার পক্ষ থেকে্ আমার ডাক পড়তো এবং আমি সাধ্যানুসারে তাঁদের ডাকে সাড়া দিতে চেষ্টা করতাম। কিন্তু এতে মন আমার তৃপ্ত হতো না। কেননা, এ ব্যবস্থার মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধার মত মাঝে মধ্যে মাত্র দু’চারটি ধর্মসভায় উপস্হিত হওয়াই সম্ভব হতো,আর তা ও আবার চাকুরীর সুনির্দিষ্ট এলাকাটুকুর মধ্যে। অথচ দেশের সর্বত্র আমার কথাগুলোকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মন আমার ব্যাকুল হয়ে থাকতো।
সৌভাগ্যবশতঃ ইতিমধ্যে কিছুটা সুযোগ এসে গেল। গ্রাম্য কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (V-AID Organisation) কর্তৃক আঞ্চলিক ভিত্তিতে “সামাজিক শিক্ষা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা” (Social Education Cupm-Public Relation Officer) পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখে যথা-নিয়মে আবেদন করি এবং যোগ্যতা বিচারে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৬০ সালে উক্ত সংস্থার ঢাকা আঞ্চলিক দপ্তরে কাজে যোগদান করি। ফলে মহকুমার পরিবর্তে কয়েকটি জেলায় ফাঁকে ইসলাম প্রচারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
কিছু দিন পরে উক্ত সংস্থাকে গুটিয়ে নেয়া হলে ‘প্রদর্শনী বিশেষজ্ঞ (Exhihit Specialist) হিসাবে ‘কৃষিতথ্য সংস্থায়’ যোগদান করি। ফলে আমার কর্মক্ষেত্রে সারা বাংলাদেশে (তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান) সমপ্রসারিত হয়। কিন্তু কাজের চাপ এতই বৃদ্ধি পায় যে,ইসলাম প্রচারের সুযোগ পাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠে।
অতএব ছিটে-ফোঁটার মত যা-ও একটু ইসলাম প্রচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম তা-ও এমনভাবেবন্ধ হয়ে যাওয়ার উপকৃম হওয়ায় আমি বিশেষভাবে চিন্তিত হয়ে পড়ি। অন্যদিকে আমার দেহেও বাধ্যক্যের লক্ষণগুলি একে একে প্রকট হয়ে উঠতে দেখে এটা বিলক্ষণ বুঝতে পারি যে,চাকুরীর দিক দিয়ে সুযোগ করে নেয়া সম্ভব হলেও আর বেশী দিন আমার পক্ষে ইসলাম প্রচারের কাজ চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। আমার মৃত্যুর সাথে সাথে আমার কথাগুলো শেষ হয়ে যাবে দেশবাসী, বিশেষ করে দেশের ভবিষ্যত নাগরিকেরা আমার কথাগুলো শুনতে বাতা থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারবে না। একথা চিন্তা করতেই আমার সারাটা মন দারুণ এক অস্বস্তিতে ভরে উঠতো।
তাছাড়া বেশ কিছুকাল ধরে এটা লক্ষ্য করে আসছিলাম যে, নানা কারণে কিছু সংখ্যক মুসলমান, বিশেষ করে নবীন সমপ্রদায়ের কিছু সংখ্যকের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত-ধারণা সৃষ্টি হয়ে চলেছে এবং অত্যন্ত দ্রুততার সাথে শুধু তাদের সংখ্যক বেড়ে চলছে না এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে নিদারুণ ঘৃণা-বিদ্বেষও সৃষ্টি হয়ে চলছে।
ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশের স্বাধনতা আন্দোলন তীব্র হতে তীব্রতর হয়ে উঠতে থাকে। সাথে সাথে এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ইসলাম বিরোধী মানসিকতাও প্রবল হয়ে উঠতে দেখা যায়। অবস্থা দৃষ্টে এটাই প্রতীয়মান হতে থাকে যে, ইসলামই যেন সব কিছুর জন্যে দায়ী এবং ইসলামকে তাড়াতে না পারলে স্বাধীকার অর্জনই যেন সম্ভব হয়ে উঠবে না।
এই বিশেষ শ্রেণীটির মধ্যে ইসলাম বিদ্বেষ এমনভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখা যায় যে, ইসলামের প্রথা-পদ্ধতি, চিরাচরিত আচারণচরণ, পরিচয়, এমনকি ইসলাম-পন্হী বলে পরিচিত মানুষ মাত্রই তাদের কাছে ঘৃণা-বিদ্বেষের পাত্র বলে বিবেচিত হতে থাকে। এই অবস্থায় দিনরাত খেটে কয়েক খানা বই লিখলাম।
কিন্তু সেগুলোকে মুদ্রিত আকারে প্রকাশ করার সাধ্য আমার ছিল না। পাণ্ডুলিপিগুলো নিয়ে বহু স্থানে বহু জনের কাছে ছুটাছুটি করেও কোন সুফল লাভ করতে পারিনি। কেউবা বিদ্যমান পরিস্হিতির কথা বলে, আর কেউবা ধমর্ীয় গোঁড়ামি’ পরিহার করার উপদেশ দিয়ে আমাকে বিদায় দিয়েছেন। এই অবস্থায় হতাশ হয়ে বিষয়টির প্রতি সহকর্মী শ্রদ্ধেয় মাওলানা আবদুল মতিন জালালাবাদী এবং দেওয়ান আবদুল হামিদ সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। তাঁরা উভয়েই আমাকে‘জাতীয় পুনর্গঠন সংস্থা (Bureau of National Reconstruction)-র তদানীন্তন পরিচালক শ্রদ্ধেয় ডঃ হাসান জামান সাহেবের সাথে সাক্ষাত করার পরামর্শ দেন এবং আশ্বাসও দেন যে গরীব লেখকদেরকে উৎসহিত করার জন্যে উক্ত সংস্থা বিশেষ উদারভাবে তাদের লিখিত বই পুস্তকগুলো প্রকাশনার ব্যবস্থা করে চলেছে। সুতরাং সুফল পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের পরামর্শানুযায়ী সেদিনই শ্রদ্ধেয় ড. হাসান জামান সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করি, সুখের বিষয় ‘বেদে পুরাণে গোমাংস’ নামক পাণ্ডুলিপিটি ছাড়া অন্য পাঁচখানাই তিনি দয়া করে গ্রহণ করেন।
জুন 17 2024
আমি কেন ইসলাম গ্রহণ করলাম?
অগত্যা চাকুরী গ্রহণ করে একদিকে আত্মগোপন এবং অন্যদিকে টিকে থাকার মত অর্থ-সংস্থান করাকেই সমীচিন বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু ইসলাম প্রচারের কাজ ‘বন্ধ করতে হবে বলে আমার মন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের দোলায় দুলতে থাকে।
সরকারী প্রচার বিভাগে চাকুরী ফেলে হয়তো কোন না কোন প্রকারে ইসলাম প্রচারের কাজও চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে, এই আশায় শেষ পর্যন্ত উক্ত বিভাগে চাকুরী লাভের চেষ্টা করতে থাকি। রাহমানুর রাহীমের অনুগ্রহ পেয়েও যাই এবং ১৯৪৬ সালের শে দিকে অন্যতম মহকুমা প্রচার কর্মচারী হিসাবে মালদহ জিলায় চাকুরীতে যোগদান করি। নানারূপ প্রতিবন্ধকতা এবং চাকুরী হারানোর ঝুঁকি নিয়েও সুযোগ পেলেই পাকিস্তন-পূর্ব সময়টাতে গোপনে গোপনে ইসলাম প্রচারের কাজ চালিয়ে যেতে থাকি। উল্লেখ্য যে এ ব্যাপারে মালদহের ধর্মভীরু মুসলমানদের যথেষ্ট সহযোগিতা আমি পেয়েছি। অন্যথায় শিখ জিলা ম্যাজিষ্ট্রেট, কশারী এস.ডি.ও. গাঙ্গুরী এস.পি প্রভৃতির চোট সামলানো কোনক্রমেই আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠতো না।
পাকিস্তান আর্জিত হওয়ার পরে বাধা প্রতিবন্ধকতা বহুল পরিমাণে হ্রাস পেলেও চাকুরীর দায়িত্ব বেড়ে যাওয়ায় আশানুরূপভাবে ইসলাম প্রচারের কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তবে রাজশাহীর মুসলমানগণ স্বভাবতই ধর্মপ্রাণ বিধায় বহু ধর্মসভার অনুষ্ঠান তাঁরা করে থাকেন; আর নও-মুসলিম হিসাবে আমার প্রতি একটি বিশেষ আকর্ষণও তাঁদের ছিল। তাই প্রায় প্রতিটি ধর্মসভার পক্ষ থেকে্ আমার ডাক পড়তো এবং আমি সাধ্যানুসারে তাঁদের ডাকে সাড়া দিতে চেষ্টা করতাম। কিন্তু এতে মন আমার তৃপ্ত হতো না। কেননা, এ ব্যবস্থার মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধার মত মাঝে মধ্যে মাত্র দু’চারটি ধর্মসভায় উপস্হিত হওয়াই সম্ভব হতো,আর তা ও আবার চাকুরীর সুনির্দিষ্ট এলাকাটুকুর মধ্যে। অথচ দেশের সর্বত্র আমার কথাগুলোকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মন আমার ব্যাকুল হয়ে থাকতো।
সৌভাগ্যবশতঃ ইতিমধ্যে কিছুটা সুযোগ এসে গেল। গ্রাম্য কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (V-AID Organisation) কর্তৃক আঞ্চলিক ভিত্তিতে “সামাজিক শিক্ষা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা” (Social Education Cupm-Public Relation Officer) পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখে যথা-নিয়মে আবেদন করি এবং যোগ্যতা বিচারে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৬০ সালে উক্ত সংস্থার ঢাকা আঞ্চলিক দপ্তরে কাজে যোগদান করি। ফলে মহকুমার পরিবর্তে কয়েকটি জেলায় ফাঁকে ইসলাম প্রচারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
কিছু দিন পরে উক্ত সংস্থাকে গুটিয়ে নেয়া হলে ‘প্রদর্শনী বিশেষজ্ঞ (Exhihit Specialist) হিসাবে ‘কৃষিতথ্য সংস্থায়’ যোগদান করি। ফলে আমার কর্মক্ষেত্রে সারা বাংলাদেশে (তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান) সমপ্রসারিত হয়। কিন্তু কাজের চাপ এতই বৃদ্ধি পায় যে,ইসলাম প্রচারের সুযোগ পাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠে।
অতএব ছিটে-ফোঁটার মত যা-ও একটু ইসলাম প্রচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম তা-ও এমনভাবেবন্ধ হয়ে যাওয়ার উপকৃম হওয়ায় আমি বিশেষভাবে চিন্তিত হয়ে পড়ি। অন্যদিকে আমার দেহেও বাধ্যক্যের লক্ষণগুলি একে একে প্রকট হয়ে উঠতে দেখে এটা বিলক্ষণ বুঝতে পারি যে,চাকুরীর দিক দিয়ে সুযোগ করে নেয়া সম্ভব হলেও আর বেশী দিন আমার পক্ষে ইসলাম প্রচারের কাজ চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। আমার মৃত্যুর সাথে সাথে আমার কথাগুলো শেষ হয়ে যাবে দেশবাসী, বিশেষ করে দেশের ভবিষ্যত নাগরিকেরা আমার কথাগুলো শুনতে বাতা থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারবে না। একথা চিন্তা করতেই আমার সারাটা মন দারুণ এক অস্বস্তিতে ভরে উঠতো।
তাছাড়া বেশ কিছুকাল ধরে এটা লক্ষ্য করে আসছিলাম যে, নানা কারণে কিছু সংখ্যক মুসলমান, বিশেষ করে নবীন সমপ্রদায়ের কিছু সংখ্যকের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত-ধারণা সৃষ্টি হয়ে চলেছে এবং অত্যন্ত দ্রুততার সাথে শুধু তাদের সংখ্যক বেড়ে চলছে না এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে নিদারুণ ঘৃণা-বিদ্বেষও সৃষ্টি হয়ে চলছে।
ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশের স্বাধনতা আন্দোলন তীব্র হতে তীব্রতর হয়ে উঠতে থাকে। সাথে সাথে এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ইসলাম বিরোধী মানসিকতাও প্রবল হয়ে উঠতে দেখা যায়। অবস্থা দৃষ্টে এটাই প্রতীয়মান হতে থাকে যে, ইসলামই যেন সব কিছুর জন্যে দায়ী এবং ইসলামকে তাড়াতে না পারলে স্বাধীকার অর্জনই যেন সম্ভব হয়ে উঠবে না।
এই বিশেষ শ্রেণীটির মধ্যে ইসলাম বিদ্বেষ এমনভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখা যায় যে, ইসলামের প্রথা-পদ্ধতি, চিরাচরিত আচারণচরণ, পরিচয়, এমনকি ইসলাম-পন্হী বলে পরিচিত মানুষ মাত্রই তাদের কাছে ঘৃণা-বিদ্বেষের পাত্র বলে বিবেচিত হতে থাকে। এই অবস্থায় দিনরাত খেটে কয়েক খানা বই লিখলাম।
কিন্তু সেগুলোকে মুদ্রিত আকারে প্রকাশ করার সাধ্য আমার ছিল না। পাণ্ডুলিপিগুলো নিয়ে বহু স্থানে বহু জনের কাছে ছুটাছুটি করেও কোন সুফল লাভ করতে পারিনি। কেউবা বিদ্যমান পরিস্হিতির কথা বলে, আর কেউবা ধমর্ীয় গোঁড়ামি’ পরিহার করার উপদেশ দিয়ে আমাকে বিদায় দিয়েছেন। এই অবস্থায় হতাশ হয়ে বিষয়টির প্রতি সহকর্মী শ্রদ্ধেয় মাওলানা আবদুল মতিন জালালাবাদী এবং দেওয়ান আবদুল হামিদ সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। তাঁরা উভয়েই আমাকে‘জাতীয় পুনর্গঠন সংস্থা (Bureau of National Reconstruction)-র তদানীন্তন পরিচালক শ্রদ্ধেয় ডঃ হাসান জামান সাহেবের সাথে সাক্ষাত করার পরামর্শ দেন এবং আশ্বাসও দেন যে গরীব লেখকদেরকে উৎসহিত করার জন্যে উক্ত সংস্থা বিশেষ উদারভাবে তাদের লিখিত বই পুস্তকগুলো প্রকাশনার ব্যবস্থা করে চলেছে। সুতরাং সুফল পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের পরামর্শানুযায়ী সেদিনই শ্রদ্ধেয় ড. হাসান জামান সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করি, সুখের বিষয় ‘বেদে পুরাণে গোমাংস’ নামক পাণ্ডুলিপিটি ছাড়া অন্য পাঁচখানাই তিনি দয়া করে গ্রহণ করেন।
By bn • অন্যান্য, মুস্তাবসের হওয়ার গল্প 0