ইমাম হুসাইনের (আ) যিয়ারত আয়ুষ্কাল ও রিযিক বৃদ্ধি এবং তা ত্যাগ ও বর্জন আয়ুষ্কাল ও রিযিক কমিয়ে দেয়; শেষ পর্ব

ইমাম হুসাইনের (আ) যিয়ারত আয়ুষ্কাল ও রিযিক বৃদ্ধি এবং তা ত্যাগ ও বর্জন আয়ুষ্কাল ও রিযিক কমিয়ে দেয়; শেষ পর্ব
ইমাম হুসাইনের (আ) যিয়ারত আয়ুষ্কাল ও রিযিক বৃদ্ধি এবং তা ত্যাগ ও বর্জন আয়ুষ্কাল ও রিযিক কমিয়ে দেয়; শেষ পর্ব

হুসাইন ইবনে আলীর ( আ ) যিয়ারত ত্যাগ ও বর্জন করবে না এবং তোমাদের সঙ্গী সাথীদের তা করার আদেশ দেবে। তাহলে মহান আল্লাহ তোমার আয়ুষ্কাল দীর্ঘ এবং তোমার রিযিক বৃদ্ধি করবেন ; তোমাকে আল্লাহ সৌভাগ্যবান ( সাঈদ ) করে পুনরুজ্জীবিত করবেন ; আর তুমি সৌভাগ্যবান হওয়া ব্যতীত মৃত্যু বরণ করবে না এবং তিনি( মহান আল্লাহ ) তোমাকে সৌভাগ্যবান হিসেবে লিপিবদ্ধ করবেন।

হাদীস নং ৪৫৭ ( ৪ ) : মুহাম্মদ ইবনে মারওয়ান বলেন : আমি হযরত আবূ জা’ফারকে ( ইমাম বাক্বির – আ – ) বলতে শুনেছি :
( তোমরা সবাই ) ইমাম হুসাইনের ( আ ) [ মাযার ] যিয়ারত কর এমনকি প্রতি বছরে হলেও। কেননা যে ব্যক্তি তাঁর ( আ ) কাছে আসে তাঁর ( আ ) হক ও অধিকারের ব্যাপারে পূর্ণ জ্ঞান ও স্বীকৃতি সহকারে তবে তাঁর ( আ ) হক ও অধিকার অস্বীকার ও অবিশ্বাস করে নয় , বেহেশত ব্যতীত তার আর কোনো প্রতিদানের বিকল্প নেই । আর সে ( যিয়ারতকারী / যায়ের ) এক প্রশস্ত ( অঢেল , বিপুল , বিশাল ও ব্যাপক ) রিযিক ( জীবিকা ) প্রাপ্ত হবে , মহান আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তাকে ফারাজ – ই ‘আজিল ( দু:খ – কষ্ট ও বিপদাপদ থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি ) দেবেন – এবং এরপর হাদীসটা উল্লেখ করলেন।

হাদীস নং ৪৬০ ( ৫ ) : আর আমাদের আসহাবের ( মুহাদ্দিসদের ) জামায়াত ( গ্রুপ বা গোষ্ঠী ) সা’দ ইবনে আব্দুল্লাহ্ থেকে যিনি মুহাম্মদ ইবনুল হাসান ইবনে আবিল খাত্তাব থেকে যিনি হাসান ইবনে মাহবূব থেকে ৪ নং হাদীসের অনুরূপ এক সমান সনদ ( ইসনাদ ) সহ আমাকে বলেছেন ( তাহ্দীস করেছেন )।
ইমাম হুসাইনের (আ) যিয়ারত আয়ুষ্কাল ও রিযিক বৃদ্ধি এবং তা ত্যাগ ও বর্জন আয়ুষ্কাল ও রিযিক কমিয়ে দেয়; প্রথম পর্ব

ইমাম হুসাইনের (আ) যিয়ারত আয়ুষ্কাল ও রিযিক বৃদ্ধি এবং তা ত্যাগ ও বর্জন আয়ুষ্কাল ও রিযিক কমিয়ে দেয়; দ্বিতীয় পর্ব

হাদীস নং ৪৬১ ( ৬ ) : আব্দুল মালিক আল – খাস’আমী বলেন : হযরত আবু আব্দিল্লাহ ( ইমাম জা’ফার সাদিক – আ – ) আমাকে বললেন : হে আব্দুল মালিক ! হুসাইন ইবনে আলীর ( আ ) যিয়ারত ত্যাগ ও বর্জন করবে না এবং তোমাদের সঙ্গী সাথীদের তা করার আদেশ দেবে। তাহলে মহান আল্লাহ তোমার আয়ুষ্কাল দীর্ঘ এবং তোমার রিযিক বৃদ্ধি করবেন ; তোমাকে আল্লাহ সৌভাগ্যবান ( সাঈদ ) করে পুনরুজ্জীবিত করবেন ; আর তুমি সৌভাগ্যবান হওয়া ব্যতীত মৃত্যু বরণ করবে না এবং তিনি( মহান আল্লাহ ) তোমাকে সৌভাগ্যবান হিসেবে লিপিবদ্ধ করবেন।
প্রাগুক্ত , পৃ: ১৫৯
অনুবাদ : ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান।