আকল (বুদ্ধিমত্তা) এবং মূর্খতা সম্পর্কে মহানবীর (সা.) বাণী

আকল (বুদ্ধিমত্তা) এবং মূর্খতা সম্পর্কে মহানবীর (সা.) বাণী
আকল (বুদ্ধিমত্তা) এবং মূর্খতা সম্পর্কে মহানবীর (সা.) বাণী

আকল (বুদ্ধিমত্তা) এবং মূর্খতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেনঃ ” জ্ঞানার্জন কর। কারণ, তা শিক্ষা করা ভালো। আর তা নিয়ে পরস্পর আলোচনা করা তাজবিহস্বরূপ। আর তা অনুসন্ধান করা জিহাদস্বরূপ। যে সে সম্পর্কে অবহিত তাকে জামানো সাদাকাস্বরূপ। উপযুক্ত পাত্রে সেটা দান করা আল্লাহর নৈকট্য লাভের কারণ হয়। কেননা, তা হারাম ও হালাল অবগত হওয়ার মাধ্যম হয়। আর যে ব্যক্তি তার অনুসন্ধানে থাকে তা তাকে বেহেশত অভিমুখে পরিচালিত করে, একাকিত্বের ভয় থেকে রক্ষা করে, নিঃসঙ্গতার সঙ্গী হয়। আর (তা) গোপন বিষয়ের প্রতি নির্দেশক, শত্রুদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার এবং অলঙ্কার। আল্লাহ্ এর দ্বারা বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে উত্থান ঘটান যাদেরকে সৎকাজের নেতা বানিয়ে দেন যাতে তারা অনুসৃত হয় এবং তাদের কাজ-কর্মের প্রতি অন্যরা মনোযোগী হয় এবং তাদের নিদর্শনসমূহ অনাদের জন্য শিক্ষণীয় হয়। ফেরেশতারা তাদের সাথে বন্ধুত্বের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। কারণ, জ্ঞান হলো অন্তরসমূহের প্রাণ, দৃষ্টিসমূহের অন্ধত্ব থেকে আলো, শরীরসমূহের দুর্বলতা থেকে শক্তির কারণ: আল্লাহ জ্ঞানের অধিকারীদেরকে বন্ধুর স্থানে আসীন করেন। আর দুনিয়া ও আখেরাতে তাদেরকে পুণ্যবানদের সাহচর্য দান করেন।

জ্ঞনের দ্বারাই আল্লাহর আনুগত্য হয় এবং তিনি উপাসিত হন। জ্ঞানের দ্বারাই আল্লাহ্ পরিচিত হন এবং একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা পায়। তা দ্বারাই আত্মীয়ের বন্ধন জোড়া লাগে, হালাল ও হারাম চেনা হয়। আর জ্ঞান হলো আকলের ইমাম (নেতা)”।

– [তুহাফুল উকুল আন আলের রাসূল (সা.)]