পবিত্র কোরআন একটি ঐশি মহাগ্রন্থ এটা আমরা সবাই জানি। কোরআন এবং বিজ্ঞান এই দুটো কি একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক ?
পবিত্র কোরআন এবং বিজ্ঞান এ দুটো মোটেই পরস্পরের সংগে সাংঘর্ষিক নয়। কোরআন যদিও বিজ্ঞান গ্রন্থ নয় কিন্তু বিজ্ঞানের চর্চাকে গভীরভাবে উৎসাহিত করে। আর বিজ্ঞান হচ্ছে মানুষের অবস্থা পরিবর্তন এবং মানুষের প্রকৃতিকে জানার একটা হাতিয়ার। কোরআনের ১০ নং সুরার ১০১ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা রাসুলে পাক (সা:)কে বলেছেন,” ওদেরকে বল, আকাশ এবং পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু আছে তার প্রত্যেকটি জিনিষের দিকে নজর দাও ।” এই প্রত্যেকটি জিনিষের প্রতি নজর দেয়াটা হচ্ছে এজেন্ডা অব সায়েন্স। সুতরাং বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে আমরা যদি আল্লাহর সৃষ্টিকে বুঝবার চেষ্টা করি,আর শুধু মুখে বলি আল্লাহ তুমি মহান -তাহলে হবে না। আল্লাহর সৃষ্টিকে ভালোভাবে বুঝতে হবে তাহলেই বোঝা যাবে তিনি কত মহান । এ প্রসঙ্গে বলা যায়, মুসলিম জাহানের আজ বড় বিপর্যয়ের কারণ হচ্ছে তারা জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে দূরে সরে গেছে । মুসলিম জাহান আজ যদি এই একটি কাজ করত তাহলে পৃথিবীতে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারত।
১৪শ’ বছর আগে অবতীর্ণ পবিত্র কোরআনের যে সব বক্তব্য বা তত্ত্ব আধুনিক বিজ্ঞানে এসে মানুষের সামনে সুস্পষ্ট করেছে-এমন দু- একটি বিষয়ঃ
পবিত্র কোরআনে অনেক কিছুই রয়েছে। মহাগ্রন্থ কোরআনের সুরা ইয়াসিনে বলা হয়েছে – জগতের প্রতিটি জিনিষ জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি প্রাণী জগৎ উদ্ভিদ জগৎ সর্বত্রই । যেমন – মানব-মানবী বা নর এবং নারী , বলদ -গাভী ইত্যাদি। ফলে সর্বত্রই যে নর এবং নারী আছে এটি আমরা সবাই জানি বা বুঝতে পারি। কোরআনে বলা হয়েছে – কুল্লাহা -তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, মিম্মা তুন বিতুল আরদি-অর্থাৎ মাটি থেকে যা ওঠে অর্থাৎ উদ্ভিদ, আনফুছিহিম- তারা তোমাদের নিজেদের মধ্যে হতে , অমিম্মা লা ইয়ালামুন – এবং এমন জিনিষ যার সম্পর্কে তোমাদের কোনো জ্ঞান নেই। এখানে জিনিষের কথা বলা হয়েছে যা জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বলা যায় – ত্রিশ দশকের দিকে যখন কোয়ন্টাম ম্যাকানিক্স – দি লজ অব দ্যা স্মল আবিষ্কার হলো তখন দেখা গেল প্রতিটি পাটিকেলসের একটি এন্টি পাটিকেলস আছে। একটি প্রটোন একটি এন্টি প্রটোন, একটা পজিট্রন একটা ইলেকট্রন। লেট নাইনটিন টুয়েন্টিতে এটি আবিষ্কৃত হলো।
পবিত্র কোরআনেও আছে যে, জ্ঞানী ব্যক্তি ছাড়া এর থেকে কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে পারবে না। ফলে কোরআন ভালো করে বুঝতে হলে বিজ্ঞান চর্চা একান্তভাবে দরকার। মুসলমানরা বিজ্ঞান চর্চা করে না, শিক্ষা গ্রহণ করে না , মাদ্রাসাগুলোতে বিজ্ঞানের আয়োজন খুবই কম । সারা বিশ্বে মুসলমানদেরকে বিজ্ঞানকে খুব স্ট্রংলি গ্রহণ করতে হবে। তাহলে মুসলিম জাহানের উন্নতি হবে। কালাম তো আমাদের আছে তবে সেই কালামের সাথে কলম দরকার। কালাম আর কলম একসংগে প্রাকটিস করলে একটি আদর্শ মানুষ হওয়া সম্ভব।
বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানীরা পবিত্র কোরআন থেকে উপকৃত হয়েছে বা দিক নির্দেশনা পেয়েছে ?
হ্যাঁ, অবশ্যই । যারা ভালো করে কোরআন পড়ে তারা ডেফিনেটলি এখান থেকে অনেক ইন্সপিরেশন পায়। পাকিস্তানের বিজ্ঞানী প্রফেসর সালাম নিজে একথা বলেছেন। তাছাড়া বিশ্বের আরো অনেক বিজ্ঞানী একথা বলেছেন যে তারা কোরআন থেকে উপকৃত হয়েছেন। আমরা নিজেরা ‘সাইন্টিফিক ইনডিকেশনস দি হোলি কোরআন ‘ লিখতে গিয়ে এটা দেখেছি যে কোরআন ভালো করে পড়লে – পার্থিব এমন কোনো বিষয় বা সাবজেক্ট নেই যা কোরআনে নেই। সুরা বাকারার ২৬৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, দিবা রাত্রির পরিবর্তনের কথা। আর এ বিষয়টি ওয়েদার সায়েন্সের মধ্যে পড়ে, মেট্রিওলোজির মধ্যে পড়ে। বায়ুর পরিবর্তনের বিষয়টি বিজ্ঞানের ওই শাখার মধ্যে পড়ে। মাতৃগর্ভে যে প্রাণের জন্ম হয় এসব বিষয় মেডিকেল সায়েন্সের অর্ন্তভুক্ত । অর্থাৎ পৃথিবীর সবকিছুর কথা কোরআনে বলা হয়েছে। কোরআনে ‘আয়াত’ আছে। আয়াত মানে হচ্ছে ‘ নিদর্শন ‘ বা সাইন। কোরআনে যে জায়গায় আয়াত বা সাইনের কথা বলা হয়েছে – তার অধিকাংশই সায়েন্স রিলেটেড। সুতরাং সায়েন্স বা বিজ্ঞান হলো আল্লাহর একটা নিদর্শন । আল্লাহকে আমরা দেখি না কিন্তু তার আয়াত বা নিদর্শন আমরা বুঝতে পারি। বিজ্ঞান হলো স্রষ্টার টিপ সই।
পবিত্র কোরআনের অনেক কিছুই অবাক করার মত । সেখানে সাহিত্য থেকে শুরু করে মানুষের জীবন যাত্রা, মানুষের প্রকৃতি দর্শন, প্রকৃতির পর্যালোচনা বা প্রকৃতিকে ভালো করে জানা , প্রকৃতির যে নিয়ম কানুন এবং শৃঙ্খলা সে সম্পর্কে অবগত হওয়া, যে প্রতিসাম্য আছে এগুলো বুঝবার জন্য মানুষকে সেখানে যেভাবে তাগিদ দেয়া হয়েছে । সেটা সত্যিই অসাধারণ তাগিদ। যে কোনো মানুষ যদি ভালো কাজ করে, মানুষকে ভালোবাসে এবং প্রকৃতিকে ভালো করে জানবার ও বুঝবার চেষ্টা করে তাহলে সে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
অনেকেই পবিত্র কোরআনকে সেকেলে বলতে চান। আজকাল বিশ্বের অনেক জায়গায় কিছু লোক কোরআনের অবমাননা করছে। এটা কোরআন সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতার কারণে । যারা এগুলো বলে বা করে তারা ভালো করে কোরআন পড়ে দেখেনি। আমি প্রসঙ্গক্রমে বলব সেকালের সত্য কি একালে অসত্য হয়ে যায়। হাজার হাজার বছর আগের যে ভালোবাসা ছিল একালে কি সেই ভালোবাসা অকেজো হয়ে গেছে। হাজার হাজার বছর আগে প্রকৃতিকে জানার যে আগ্রহ বা তাগাদা ছিল তা কি এখন অকেজো হয়ে গেছে! তাতো হয়নি। সব যুগের সব মানুষের প্রতি বলা হয়েছে যে, প্রকৃতিকে ভালোভাবে স্টাডি করতে হবে। আমরা এখনও নেচারকে ভালোভাবে জানতে পারি নি। থার্টি মিলিয়ন লাইভস ফর্ম বা তিন কোটি প্রাণ আছে। আমরা মানুষেরা মাত্র ৫ মিলিয়ন স্টাডি করতে পেরেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা হালের বৈজ্ঞানিক গবেষণার যে বিষয়গুলো যেমন ধরুন – বায়ো ডায়ভার্সিটি বা জীব বৈচিত্র। এর সেন্ট্রাল প্রিন্সিপাল হচ্ছে ” নাথিং হ্যাজ বিন ক্রিয়েটেড ফর নাথিং” অর্থাৎ বিনা কারণে কোনো কিছু সৃষ্টি করা হয়নি। সুরা আল এমরানের ১৯০ ও ৯১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে ,যারা দাঁড়িয়ে বসে শুয়ে দিবারাত্রির পরিবর্তন ,আকাশ ,জগত সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে – তারা বলে, হে প্রভূ বিনা কারণে তুমি কিছু সৃষ্টি করোনি। আর এই যে বিনা কারণে কোনো কিছু সৃষ্টি করোনি এ কথাটি হচ্ছে বায়ো ডায়ভার্সিটি বা জীব বৈচিত্রের মূল কথা। আমার মনে হয় যে পবিত্র কোরআনকে ভালো করে, গভীরভাবে এবং জ্ঞান নিয়ে পড়া দরকার। এভাবে পবিত্র কোরআনকে পড়তে পারলে এ মহাগ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়া সম্ভব ।
নভে. 8 2023
কোরআন এবং বিজ্ঞান
পবিত্র কোরআন একটি ঐশি মহাগ্রন্থ এটা আমরা সবাই জানি। কোরআন এবং বিজ্ঞান এই দুটো কি একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক ?
পবিত্র কোরআন এবং বিজ্ঞান এ দুটো মোটেই পরস্পরের সংগে সাংঘর্ষিক নয়। কোরআন যদিও বিজ্ঞান গ্রন্থ নয় কিন্তু বিজ্ঞানের চর্চাকে গভীরভাবে উৎসাহিত করে। আর বিজ্ঞান হচ্ছে মানুষের অবস্থা পরিবর্তন এবং মানুষের প্রকৃতিকে জানার একটা হাতিয়ার। কোরআনের ১০ নং সুরার ১০১ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা রাসুলে পাক (সা:)কে বলেছেন,” ওদেরকে বল, আকাশ এবং পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু আছে তার প্রত্যেকটি জিনিষের দিকে নজর দাও ।” এই প্রত্যেকটি জিনিষের প্রতি নজর দেয়াটা হচ্ছে এজেন্ডা অব সায়েন্স। সুতরাং বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে আমরা যদি আল্লাহর সৃষ্টিকে বুঝবার চেষ্টা করি,আর শুধু মুখে বলি আল্লাহ তুমি মহান -তাহলে হবে না। আল্লাহর সৃষ্টিকে ভালোভাবে বুঝতে হবে তাহলেই বোঝা যাবে তিনি কত মহান । এ প্রসঙ্গে বলা যায়, মুসলিম জাহানের আজ বড় বিপর্যয়ের কারণ হচ্ছে তারা জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে দূরে সরে গেছে । মুসলিম জাহান আজ যদি এই একটি কাজ করত তাহলে পৃথিবীতে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারত।
১৪শ’ বছর আগে অবতীর্ণ পবিত্র কোরআনের যে সব বক্তব্য বা তত্ত্ব আধুনিক বিজ্ঞানে এসে মানুষের সামনে সুস্পষ্ট করেছে-এমন দু- একটি বিষয়ঃ
পবিত্র কোরআনে অনেক কিছুই রয়েছে। মহাগ্রন্থ কোরআনের সুরা ইয়াসিনে বলা হয়েছে – জগতের প্রতিটি জিনিষ জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি প্রাণী জগৎ উদ্ভিদ জগৎ সর্বত্রই । যেমন – মানব-মানবী বা নর এবং নারী , বলদ -গাভী ইত্যাদি। ফলে সর্বত্রই যে নর এবং নারী আছে এটি আমরা সবাই জানি বা বুঝতে পারি। কোরআনে বলা হয়েছে – কুল্লাহা -তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, মিম্মা তুন বিতুল আরদি-অর্থাৎ মাটি থেকে যা ওঠে অর্থাৎ উদ্ভিদ, আনফুছিহিম- তারা তোমাদের নিজেদের মধ্যে হতে , অমিম্মা লা ইয়ালামুন – এবং এমন জিনিষ যার সম্পর্কে তোমাদের কোনো জ্ঞান নেই। এখানে জিনিষের কথা বলা হয়েছে যা জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বলা যায় – ত্রিশ দশকের দিকে যখন কোয়ন্টাম ম্যাকানিক্স – দি লজ অব দ্যা স্মল আবিষ্কার হলো তখন দেখা গেল প্রতিটি পাটিকেলসের একটি এন্টি পাটিকেলস আছে। একটি প্রটোন একটি এন্টি প্রটোন, একটা পজিট্রন একটা ইলেকট্রন। লেট নাইনটিন টুয়েন্টিতে এটি আবিষ্কৃত হলো।
পবিত্র কোরআনেও আছে যে, জ্ঞানী ব্যক্তি ছাড়া এর থেকে কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে পারবে না। ফলে কোরআন ভালো করে বুঝতে হলে বিজ্ঞান চর্চা একান্তভাবে দরকার। মুসলমানরা বিজ্ঞান চর্চা করে না, শিক্ষা গ্রহণ করে না , মাদ্রাসাগুলোতে বিজ্ঞানের আয়োজন খুবই কম । সারা বিশ্বে মুসলমানদেরকে বিজ্ঞানকে খুব স্ট্রংলি গ্রহণ করতে হবে। তাহলে মুসলিম জাহানের উন্নতি হবে। কালাম তো আমাদের আছে তবে সেই কালামের সাথে কলম দরকার। কালাম আর কলম একসংগে প্রাকটিস করলে একটি আদর্শ মানুষ হওয়া সম্ভব।
বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানীরা পবিত্র কোরআন থেকে উপকৃত হয়েছে বা দিক নির্দেশনা পেয়েছে ?
হ্যাঁ, অবশ্যই । যারা ভালো করে কোরআন পড়ে তারা ডেফিনেটলি এখান থেকে অনেক ইন্সপিরেশন পায়। পাকিস্তানের বিজ্ঞানী প্রফেসর সালাম নিজে একথা বলেছেন। তাছাড়া বিশ্বের আরো অনেক বিজ্ঞানী একথা বলেছেন যে তারা কোরআন থেকে উপকৃত হয়েছেন। আমরা নিজেরা ‘সাইন্টিফিক ইনডিকেশনস দি হোলি কোরআন ‘ লিখতে গিয়ে এটা দেখেছি যে কোরআন ভালো করে পড়লে – পার্থিব এমন কোনো বিষয় বা সাবজেক্ট নেই যা কোরআনে নেই। সুরা বাকারার ২৬৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, দিবা রাত্রির পরিবর্তনের কথা। আর এ বিষয়টি ওয়েদার সায়েন্সের মধ্যে পড়ে, মেট্রিওলোজির মধ্যে পড়ে। বায়ুর পরিবর্তনের বিষয়টি বিজ্ঞানের ওই শাখার মধ্যে পড়ে। মাতৃগর্ভে যে প্রাণের জন্ম হয় এসব বিষয় মেডিকেল সায়েন্সের অর্ন্তভুক্ত । অর্থাৎ পৃথিবীর সবকিছুর কথা কোরআনে বলা হয়েছে। কোরআনে ‘আয়াত’ আছে। আয়াত মানে হচ্ছে ‘ নিদর্শন ‘ বা সাইন। কোরআনে যে জায়গায় আয়াত বা সাইনের কথা বলা হয়েছে – তার অধিকাংশই সায়েন্স রিলেটেড। সুতরাং সায়েন্স বা বিজ্ঞান হলো আল্লাহর একটা নিদর্শন । আল্লাহকে আমরা দেখি না কিন্তু তার আয়াত বা নিদর্শন আমরা বুঝতে পারি। বিজ্ঞান হলো স্রষ্টার টিপ সই।
পবিত্র কোরআনের অনেক কিছুই অবাক করার মত । সেখানে সাহিত্য থেকে শুরু করে মানুষের জীবন যাত্রা, মানুষের প্রকৃতি দর্শন, প্রকৃতির পর্যালোচনা বা প্রকৃতিকে ভালো করে জানা , প্রকৃতির যে নিয়ম কানুন এবং শৃঙ্খলা সে সম্পর্কে অবগত হওয়া, যে প্রতিসাম্য আছে এগুলো বুঝবার জন্য মানুষকে সেখানে যেভাবে তাগিদ দেয়া হয়েছে । সেটা সত্যিই অসাধারণ তাগিদ। যে কোনো মানুষ যদি ভালো কাজ করে, মানুষকে ভালোবাসে এবং প্রকৃতিকে ভালো করে জানবার ও বুঝবার চেষ্টা করে তাহলে সে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
অনেকেই পবিত্র কোরআনকে সেকেলে বলতে চান। আজকাল বিশ্বের অনেক জায়গায় কিছু লোক কোরআনের অবমাননা করছে। এটা কোরআন সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতার কারণে । যারা এগুলো বলে বা করে তারা ভালো করে কোরআন পড়ে দেখেনি। আমি প্রসঙ্গক্রমে বলব সেকালের সত্য কি একালে অসত্য হয়ে যায়। হাজার হাজার বছর আগের যে ভালোবাসা ছিল একালে কি সেই ভালোবাসা অকেজো হয়ে গেছে। হাজার হাজার বছর আগে প্রকৃতিকে জানার যে আগ্রহ বা তাগাদা ছিল তা কি এখন অকেজো হয়ে গেছে! তাতো হয়নি। সব যুগের সব মানুষের প্রতি বলা হয়েছে যে, প্রকৃতিকে ভালোভাবে স্টাডি করতে হবে। আমরা এখনও নেচারকে ভালোভাবে জানতে পারি নি। থার্টি মিলিয়ন লাইভস ফর্ম বা তিন কোটি প্রাণ আছে। আমরা মানুষেরা মাত্র ৫ মিলিয়ন স্টাডি করতে পেরেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা হালের বৈজ্ঞানিক গবেষণার যে বিষয়গুলো যেমন ধরুন – বায়ো ডায়ভার্সিটি বা জীব বৈচিত্র। এর সেন্ট্রাল প্রিন্সিপাল হচ্ছে ” নাথিং হ্যাজ বিন ক্রিয়েটেড ফর নাথিং” অর্থাৎ বিনা কারণে কোনো কিছু সৃষ্টি করা হয়নি। সুরা আল এমরানের ১৯০ ও ৯১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে ,যারা দাঁড়িয়ে বসে শুয়ে দিবারাত্রির পরিবর্তন ,আকাশ ,জগত সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে – তারা বলে, হে প্রভূ বিনা কারণে তুমি কিছু সৃষ্টি করোনি। আর এই যে বিনা কারণে কোনো কিছু সৃষ্টি করোনি এ কথাটি হচ্ছে বায়ো ডায়ভার্সিটি বা জীব বৈচিত্রের মূল কথা। আমার মনে হয় যে পবিত্র কোরআনকে ভালো করে, গভীরভাবে এবং জ্ঞান নিয়ে পড়া দরকার। এভাবে পবিত্র কোরআনকে পড়তে পারলে এ মহাগ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়া সম্ভব ।
By bn • প্রকাশনা কেন্দ্র 0 • Tags: আকাশ, আধুনিক, আল্লাহ, আল্লাহতায়ালা, ইয়াসিন, এজেন্ডা, কোরআন, নারী, পবিত্র, পৃথিবী, বিজ্ঞান, মহাগ্রন্থ, মহান, মানুষ, মুসলিম