ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের চল্লিশার যিয়ারতের সফর শুধু আবেগের সফর নয়!

ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের চল্লিশার যিয়ারতের সফর শুধু আবেগের সফর নয়!
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের চল্লিশার যিয়ারতের সফর শুধু আবেগের সফর নয়!

এই সফরের মাধ্যমে শিয়া মতবাদের মৌলিকতা ও অদ্বিতীয়তা ও শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় উন্মোচন হয়।

যারা কারবালায় যাবেন তারা যেন বিজয়ের অনুভূতি নিয়ে যান!

যারা আরবাঈনের যিয়ারতে যাবেন তারা যেন ইমাম মাহদী (আ.)-এর সাহায্যকারী হিসেবে কারবালায় যান!

আর যারা আরবাঈনে যেতে পারছেন না, তারা যেন বিবি যাইনাব (সা.)-এর মিশনের মত প্রচার ও প্রসারের মিশনকে কাঁধে তুলে নেন! তারা যেন বাকীদেরকে আরবাঈনে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর যিয়ারতের এই সংস্কৃতির উদ্দেশ্য বুঝিয়ে বলেন! যারা যেতে পারছেন না তারা যেন আরবাঈন-লাইফ-স্টাইল অর্থাৎ কারবালার এই চল্লিশার সময়ের দশদিনের জীবন ব্যবস্থা পদ্ধতিকে নিজের শহরে, এলাকায়, বাসা-বাড়িতে ছড়িয়ে দেন!

সবাই যেন আরবাঈনের সময় আনন্দের অনুভূতি নিয়ে থাকেন কারণ আরবাঈনেই ইমাম মাহদী (আ.) আসার সবচেয়ে বড় প্রস্তুতির কাজ হয়!! আরবাঈনের সময় এই আরবাঈন সংস্কৃতির সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে আমাদের সবাইকে গর্ব করা উচিত কারণ আমরা আরবাঈন নামক এক মহাসাগরের সাথে যুক্ত হয়ে যাচ্ছি!

বাসা-বাড়ির মেইন গেইটে বিজয়ের পতাকা উত্তোলনের সময় এসেছে!! আরবাঈনে এই কাজটাই করুন!!

আরবাঈনের সাথে যুক্ত হন! ইমাম মাহদী (আ.)-এর আগমনকে এর মাধ্যমেই তরান্বিত করুন!

(লেখাটি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মুহাম্মাদ বাকের হুসাইনীর লেখনী থেকে সংগৃহীত।)