বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শত্রু কে?

বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শত্রু কে?
বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শত্রু কে?

মুমিন মুসলমান কেবল মহান আল্লাহর ওপর আশা ভরসা রাখে । ফাসিক ফাজির লম্পট অবাধ্য অধার্মিক বদকার লোকের ওপর মোটেও আশা রাখে না এবং তার ব্যাপারে মোটেও আশাবাদী নয় । ঠিক একই ভাবে মুসলিম দেশগুলোর উচিত নয় অমুসলিম বিধর্মী ফাসিক ফাজির দেশ ও রাষ্ট্রের ওপর আশা রাখা ও ঐ সব ইসলাম বিরোধী দেশসমূহের ব্যাপারে আশাবাদী থাকা।

قال الإمام الجواد – علیه السلام – : مَنْ أَمَّلَ فَاجِرَاً کَانَ أَدْنَیٰ عُقُوْبَتِهِ الْحِرْمَانُ
کسی که به انسان بدکاری امید بسته باشد کمترین عقوبتش محرومیت و نرسیدن به آرزوی خود است .
الفصول المهمه لابن صباغ : ۲۷۵/ ۲۷۴ ، ح ۱۸ ، مسند امام جواد ۲۴۸ ,
کشف الغمة للاربیلي ، ج : ۲ ، ص : ۳۵۰ ، ح : ۱۰ ؛ نور الابصار : ص : ۳۳۲ ، ح : ۱۷

যে ব্যক্তি কোনো বদকার অসৎ অবাধ্য ( ফাসিক ফাজির) লোকের প্রতি আশা রাখবে তার ন্যূনতম শাস্তি হবে বঞ্চনা এবং তার আশা পূরণ না হওয়া।
[সূত্র : আল – ফুসূলুল মুহিম্মাহ্ ২৭৫ / ২৭৪ , হাদীস নং ১৮ ; মুসনাদ – ই ইমাম জাওয়াদ ( আ ) ২৪৮ ; কাশফুল গুম্মাহ , খ : ২, পৃ : ৩৫০ , হাদীস নং ১০ ; নূরুল আবসার, পৃ : ৩৩২ , হাদীস নং ১৭]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মুমিন মুসলমান কেবল মহান আল্লাহর ওপর আশা ভরসা রাখে । ফাসিক ফাজির লম্পট অবাধ্য অধার্মিক বদকার লোকের ওপর মোটেও আশা রাখে না এবং তার ব্যাপারে মোটেও আশাবাদী নয় । ঠিক একই ভাবে মুসলিম দেশগুলোর উচিত নয় অমুসলিম বিধর্মী ফাসিক ফাজির দেশ ও রাষ্ট্রের ওপর আশা রাখা ও ঐ সব ইসলাম বিরোধী দেশসমূহের ব্যাপারে আশাবাদী থাকা । আর এ কাজ করলে মহান আল্লাহ যে ন্যূনতম শাস্তি আশা পোষণকারী ও আশাবাদীকে দেবেন তা হচ্ছে বঞ্চনা ও তার আশা পূরণ না হওয়া। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় মুসলিম দেশ গুলো এখন অমুসলিম দেশগুলোর ওপর আশা ভরসা রাখছে এবং তাদের ব্যাপারে খুব আশাবাদী। আর এ সব অমুসলিম দেশগুলো ফাসিক ফাজির দুর্নীতি পরায়ণ ও যালিম। আর এদের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার কারণে মুসলিম দেশগুলো বঞ্চনার শিকার হয়েছে ও হচ্ছে এবং তাদের আশা পূরণও হচ্ছে না যা এই হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে ।
পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন ও ইসরাইল ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই কোনক্রমেই পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন ও ইসরাইলের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ পাশ্চাত্য বিশেষ ভাবে মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শত্রুতায় লিপ্ত যার চাক্ষুস প্রমাণ হল যে সম্প্রতি বেশ কয়েক বার সুইডেন ও ডেনমার্কে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে এ দেশগুলোর পুলিশ প্রহরায় । তুরস্কের মতো কতিপয় মুসলিম দেশ অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সুবিধা লাভ এবং উন্নতি ও প্রগতির আশা নিয়ে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে অথচ তা হচ্ছে সম্পূর্ণ অনুচিৎ । সবার উচিত এর জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তির প্রতীক্ষা করা । আর এ ক্ষেত্রে ন্যুনতম শাস্তি হচ্ছে বঞ্চনা ( মহান আল্লাহর রহমত , বরকত থেকে বঞ্চিত
হওয়া ) ।

অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা :

ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান।