আত্মিক প্রশান্তি তাকওয়া ও পরহেজগারির অন্যতম প্রতিফল

আত্মিক প্রশান্তি তাকওয়া ও পরহেজগারির অন্যতম প্রতিফলবিশিষ্ট আলেম ও ইসলামি গবেষক হযরত আয়াতুল্লাহ হায়েরি শিরাজি মাহে রমজান উপলক্ষে তেহরানের ইমাম সাদেক (আ.) ভার্সিটির মসজিদে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বলেন: মু’মিন ও তাকওয়াধারী ব্যক্তি যতই বয়োজৈষ্ঠ হয় এবং জীবন সায়াহ্নে উপনীত হয়; ততই আত্মিক প্রশান্তি ও স্বস্তি বোধ করে।

অথচ কাফির ও ঈমানহীন ব্যক্তি যতই জীবন সায়াহ্নে উপনীত হয়, ততই অশান্তি ও অস্বস্তিবোধ করে। আর এমন পরস্পর বিপরীত অবস্থার নেপথ্য কারণ হচ্ছে সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি ঈমান বা আস্থাপোষণ অথবা অবিশ্বাস।

তিনি বলেন: আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন যে, কোরআনের আয়াতসমূহ দু’ভাগে বিভক্ত; যথা: মুহকামাত তথা অকাট্য ও সুদৃঢ় বর্ণনা সম্বলিত আয়াত এবং অপরগুলো হচ্ছে মুতাশাবেহাত তথা রূপক অর্থ সম্বলিত। মু’মিন ও ঈমানদারদের কার্যক্রম সব সময় মুহকামাত আয়াতের উপর নির্ভলশীল।

এ কারণে তারা কখনও সন্দেহ ও সন্দিহানের শিকার হয় না। তারা সব সময় ন্যায় ও সত্যের উপর সুদৃঢ়। কেউ তাদেরকে সত্যের উপর থেকে এক বিন্দুও নড়াতে পারে না। কিন্তু কাফির, মুশরিক ও ঈমানহীন ব্যক্তিরা কখনও এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নয়। তারা সব সময় অস্বস্তি ও দোদুল্যমনার শিকার।