সৌদি আরবে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির প্রথম মসজিদ নির্মাণ

সৌদি আরবে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির প্রথম মসজিদ নির্মাণ
সৌদি আরবে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির প্রথম মসজিদ নির্মাণ

বিশ্বের প্রথম থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে নির্মিত মসজিদটি জেদ্দায় উদ্বোধন করা হয়েছে। এই মসজিদটির আয়তন ৫৬০০ বর্গমিটারের বেশি।

সৌদি আরবে থ্রিডি প্রিন্টেড প্রযুক্তির তৈরি বিশ্বের প্রথম মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। জেদ্দার আল-জাওহারা শহরে অবস্থিত মসজিদটি গত বুধবার (৬ মার্চ) চালু করা হয়। আবদুল আজিজ আবদুল্লাহ শরবতলি নামের এ মসজিদের নির্মাণকাজ ছয় মাস আগে শুরু হয়েছিল। মূলত প্রয়াত স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্ত্রী ওয়াজনাত মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদের পক্ষ থেকে মসজিদটি তৈরি করা হয়।

৫৬০০ বর্গমিটার আয়োতনের এ মসজিদে একসঙ্গে কয়েক শ লোক নামাজ পড়তে পারবেন। ফুরসান রিয়েল এস্টেটের তত্ত্বাবধানে চীনের বিখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুয়ানলি ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ প্রযুক্তিনির্ভর এ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে।
ওয়াজনাত বলেন, ‘স্থানীয় ঐতিহ্য ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মধ্যে সমন্বয় করে বিশ্বের প্রথম থ্রিডি প্রিন্টেড মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। যেন সৌদি আরবে এ ধরনের প্রযুক্তি শুরুর যাত্রায় আমরাও অংশীদার হতে পারি।

মূলত আমার প্রিয় প্রয়াত স্বামীর আত্মার শান্তি কামনায় তা তৈরি করা হয়।’
মসজিদের নকশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মসজিদটির নকশার ধারণা মুসল্লিদের আতিথেয়তার মাধ্যমে প্রশান্তিবোধ তৈরির ভাবনা থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক আলোর ওপর ভিত্তি করে মসজিদের প্রবেশদ্বার, গেটের নকশা করা হয়। মসজিদের মিনারগুলো অনন্য বৈচিত্র্য এনে দিয়েছে।

আর মসজিদের বাইরের খোলা প্রাঙ্গণের নকশার ধারণা পবিত্র কাবাঘরের পাশে হাজরে ইসমাইল থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে জুমা, রমজানের তারাবি ও দুই ঈদের নামাজ পড়তে পারবেন মুসল্লিরা।’
এর আগে গত বছর দুবাইয়ের ইসলামবিষয়ক বিভাগ (আইএসিএডি) থ্রিডি প্রিন্টেড মসজিদ নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছিল। আমিরাতের পুরনো শহর বুর দুবাইয়ে নির্মিত মসজিদটির নির্মাণকাজ আগামী বছরের মার্চে শেষ হবে বলে জানানো হয়। ১৮৫ বর্গমিটার আয়োতনের এ মসজিদে ছয় শর বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন।

থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি হলো, ডিজিটাল নিয়ন্ত্রিত মেশিনের মাধ্যমে কাঁচামাল ও অন্যান্য শিল্পের সংমিশ্রণে মানুষের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া ভবনের অবকাঠামো তৈরি করা। ভবন নির্মাণ প্রকৌশলের ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি খুবই পরিবেশবান্ধব ও নির্মাণসামগ্রীর বর্জ্য কমাতে সহায়ক। তবে সাধারণ খরচের চেয়ে এতে অনেক বেশি খরচ হয়।