মহানবী (সা.) এবং তাঁর দোহিত্রের অমিয় বাণী

মহানবী (সা.) এবং তাঁর দোহিত্রের অমিয় বাণী
মহানবী (সা.) এবং তাঁর দোহিত্রের অমিয় বাণী

ইমাম হুসাইন (আ) : যে কেউ মহান আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও ক্রোধের বিনিময়ে ( মহান আল্লাহকে অসন্তুষ্ট ও ক্রুদ্ধ করে ) মানুষের সন্তুষ্টি লাভের সন্ধান ও চেষ্টা করবে মহান আল্লাহ তাকে মানুষের কাছে সোপর্দ (ও হস্তান্তর) করবেন এবং ছেড়ে দেবেন ( হেয় ও অপদস্থ করবেন ) ।

মহানবী (সা) বলেছেন : যেমন ভাবে লোহায় জং ধরে ঠিক তেমনি অন্তর সমূহেও জং ধরে ।

তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল : কিভাবে জং ধরা অন্তর ( দিল ) স্বচ্ছ ( পরিস্কার ও জং মুক্ত) হতে পারে ?

তিনি (সা ) বললেন : পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও মৃত্যুর কথা স্মরণ ও চিন্তা করার মাধ্যমে।
নাহজুল ফাসাহা, পৃ : ১৮৯

ইমাম হুসাইন ( আ ) : যা তোমাদের সম্মান ও মর্যাদা হানি ও খাটো করে ( কমিয়ে দেয় ) তা তোমরা মুখেও উচ্চারণ করো না ও বলো না।
সূত্র : জালাউল ‘উয়ূন্ , খ : ২ , পৃ : ২০৫

ইমাম হুসাইন (আ) : যে কেউ মহান আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও ক্রোধের বিনিময়ে ( মহান আল্লাহকে অসন্তুষ্ট ও ক্রুদ্ধ করে ) মানুষের সন্তুষ্টি লাভের সন্ধান ও চেষ্টা করবে মহান আল্লাহ তাকে মানুষের কাছে সোপর্দ (ও হস্তান্তর) করবেন এবং ছেড়ে দেবেন ( হেয় ও অপদস্থ করবেন ) ।
সূত্র : বিহারুল আনওয়ার, খ : ৭৫ , পৃ : ১২৬ , হাদীস নং ৮

মহানবী (সা) : তোমার উচিত পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা। কারণ , পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত হচ্ছে গুনাহ ও পাপসমূহের কাফফারাহ ( পাপমোচন) , দোযখের আগুন নির্বাপনকারী এবং আযাব ( শাস্তি ) থেকে রক্ষাকবচ ও নিরাপত্তা দানকারী।
সূত্র : বিহারুল আনওয়ার, খ : ৯২ , পৃ : ১৭ , হাদীস নং ১৮

رسول خدا صلّى‌اللّٰه‌عليه‌و‌آله:

الرؤيا ثلاثةٌ بُشرى مِن اللّهِ وتَحزِينٌ مِنَ الشيطانِ والذي يُحَدِّثُ بهِ الإنسانُ نَفسَهُ فَيَراهُ في مَنامِهِ

মহানবী (সা) : স্বপ্ন তিন প্রকার। যথা:
১. মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ ( বুশরা) ,
২. শয়তানের পক্ষ থেকে দু:খ – শোক ও দুঃসংবাদ স্বরূপ (ও হতাশা ব্যঞ্জক) এবং
৩. মানুষ ( অবচেতন মনে ) নিজের সাথে যা বলে তাই সে স্বপ্নের মধ্যে দেখতে পায় ।
সুত্র : বিহারুল আনওয়ার , পৃ : ৬১ , পৃ : ১৯১ , হাদীস নং ৫৮

ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান