হে ঐ ( মহামহিম ) সত্ত্বা ( আল্লাহ পাক) যার কাছ থেকেই আমি কেবল সকল খাইরের (কল্যাণ ও মঙ্গল ) আশা পোষণ করি এবং সকল অনিষ্ট ও অকল্যাণের ক্ষেত্রে তাঁর অসন্তুষ্টি ও ক্রোধ হতে আমান ( নিরাপত্তা ) পেতে চাই ।
হে ঐ (মহান ) সত্ত্বা (আল্লাহ) যিনি অল্পের বিনিময়ে অধিক ( পূণ্য ) দান করেন ( বান্দার অতি অল্প ত্রুটিপূর্ণ ও অপূর্ণাঙ্গ আমলের বিনিময় অজস্র পূণ্য ও সওয়াব দেন )
কারণ, আপনি যা দান করেছেন ও করেন তা হচ্ছে ত্রুটিহীন ও নি:খুঁত এবং হে করীম (অত্যন্ত দানশীল , উদার ও দয়াময় ) ! আমার ব্যাপারে আপনার কৃপা ( ফযল) বৃদ্ধি করে দিন । এরপর রাবী বলেন :
ইমাম ( আ ) নিজের দাড়ি মুবারক বাম হাতের পাঞ্জা দিয়ে ধরে অত্যন্ত বিনয় ও শ্রদ্ধার সাথে ডান হাতের সাব্বাবাহ ( তর্জনী : বৃদ্ধাঙ্গুলির পার্শ্বস্থ আঙ্গুল ) নাড়িয়ে নিম্নোক্ত দুআ পাঠ করলেন :
হে মহিমান্বিত এবং পরম সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী সত্ত্বা , হে সমুদয় নেয়ামতের অধিকারী ও অবারিত দানশীল পরম দাতা ! আপনি আমার মাহাসিনকে ( শ্মশ্রুমণ্ডিত মুখমণ্ডল অর্থাৎ আমাকে ) দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করুন ।
অনুবাদ : ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
ফেব্রু. 3 2024
রজব মাসে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর এ দুআ পাঠ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
يَا مَنْ أَرْجُوهُ لِكُلِّ خَيْرٍ وَ آمَنُ
سَخَطَهُ عِنْدَ (مِنْ) كُلِّ شَرٍّ
হে ঐ ( মহামহিম ) সত্ত্বা ( আল্লাহ পাক) যার কাছ থেকেই আমি কেবল সকল খাইরের (কল্যাণ ও মঙ্গল ) আশা পোষণ করি এবং সকল অনিষ্ট ও অকল্যাণের ক্ষেত্রে তাঁর অসন্তুষ্টি ও ক্রোধ হতে আমান ( নিরাপত্তা ) পেতে চাই ।
يَا مَنْ يُعْطِي الْكَثِيرَ بِالْقَلِيلِ يَا مَنْ يُعْطِي مَنْ سَأَلَهُ
হে ঐ (মহান ) সত্ত্বা (আল্লাহ) যিনি অল্পের বিনিময়ে অধিক ( পূণ্য ) দান করেন ( বান্দার অতি অল্প ত্রুটিপূর্ণ ও অপূর্ণাঙ্গ আমলের বিনিময় অজস্র পূণ্য ও সওয়াব দেন )
یَامَنْ يُعْطِي مَنْ لَمْ يَسْأَلْهُ وَ مَنْ لَمْ يَعْرِفْهُ تَحَنُّناً مِنْهُ وَ رَحْمَةً
হে ঐ (মহান) সত্ত্বা (আল্লাহ পাক ) যিনি ঐ ব্যক্তিকেও অনুগ্রহ ও দয়া বশত: দান করেন যে তাঁর কাছে চায় নি ও প্রার্থনা করে নি এবং যে তাঁকে চিনতেও পারে নি ।
أَعْطِنِي بِمَسْأَلَتِي إِيَّاكَ جَمِيعَ خَيْرِ الدُّنْيَا وَ جَمِيعَ خَيْرِ الْآخِرَةِ
আমাকে আপনি দিন এ কারণে যে আমি কেবল আপনারই কাছে দুনিয়ার ( ইহকাল ) সকল কল্যাণ ( খাইর ) এবং আখেরাতের ( পরকাল) সকল কল্যাণ ( খাইর ) প্রার্থনা করছি ।
وَ اصْرِفْ عَنِّي بِمَسْأَلَتِي إِيَّاكَ جَمِيعَ شَرِّ الدُّنْيَا وَ (جَمِيعَ) شَرِّ الْآخِرَةِ
আর কেবল আপনার কাছে আমার প্রার্থনা করার বদৌলতে
আমার থেকে আপনি দুনিয়া ও আখেরাতের সকল অনিষ্ট ও অমঙ্গল দূর করে দিন
فَإِنَّهُ غَيْرُ مَنْقُوصٍ مَا أَعْطَيْتَ وَ زِدْنِي مِنْ فَضْلِكَ يَا كَرِيمُ
কারণ, আপনি যা দান করেছেন ও করেন তা হচ্ছে ত্রুটিহীন ও নি:খুঁত এবং হে করীম (অত্যন্ত দানশীল , উদার ও দয়াময় ) ! আমার ব্যাপারে আপনার কৃপা ( ফযল) বৃদ্ধি করে দিন ।
এরপর রাবী বলেন :
ইমাম ( আ ) নিজের দাড়ি মুবারক বাম হাতের পাঞ্জা দিয়ে ধরে অত্যন্ত বিনয় ও শ্রদ্ধার সাথে ডান হাতের সাব্বাবাহ ( তর্জনী : বৃদ্ধাঙ্গুলির পার্শ্বস্থ আঙ্গুল ) নাড়িয়ে নিম্নোক্ত দুআ পাঠ করলেন :
يَا ذَا الْجَلاَلِ وَ الْإِكْرَامِ يَا ذَا النَّعْمَاءِ وَ الْجُودِ يَا ذَا الْمَنِّ وَ الطَّوْلِ حَرِّمْ شَيْبَتِي عَلَى النَّارِ
হে মহিমান্বিত এবং পরম সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী সত্ত্বা , হে সমুদয় নেয়ামতের অধিকারী ও অবারিত দানশীল পরম দাতা ! আপনি আমার মাহাসিনকে ( শ্মশ্রুমণ্ডিত মুখমণ্ডল অর্থাৎ আমাকে ) দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করুন ।
অনুবাদ : ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
By bn • অন্যান্য, মুস্তাবসেরগণের তাবলীগ 0 • Tags: আল্লাহ, নামায, ফরয, মহান, রজব