(৫২) এবং নিঃসন্দেহে আমরা তাদের জন্য এমন গ্রন্থ এনেছি, যা আমরা জ্ঞানের ভিত্তিতে বিশদভাবে বর্ণনা করেছি এ অবস্থায় যে, তা বিশ্বাসীদের জন্য পথনির্দেশ ও অনুগ্রহস্বরূপ।
(৫৩) তারা কি শুধু সেই (প্রতিশ্রুত) পরিণামের প্রতীক্ষায় রয়েছে? তবে যেদিন সেই পরিণামের সময় এসে যাবে, সেদিন যারা পূর্ব থেকে তা বিস্মৃত হয়েছিল তারা বলবে, ‘নিঃসন্দেহে আমাদের প্রতিপালকের রাসূলগণ সত্য নিয়ে এসেছিলেন। তবে কি এখন আমাদের কোন সুপারিশকারী আছে যে আমাদের জন্য সুপারিশ করবে? অথবা আমাদের পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে যেন আমরা পূর্বে যা করতাম তা হতে ভিন্ন কিছু করতে পারি?’ নিঃসন্দেহে তারা নিজেদের ক্ষতি সাধন করেছে; এবং তারা যে মিথ্যা আরোপ করত তাও অন্তর্হিত হয়েছে।
(৫৪) নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক সেই আল্লাহ যিনি ছয় দিনে আকাশম-লী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর আরশের ওপর নিজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি রাত দিয়ে দিনকে আচ্ছাদিত করেন যা দ্রুতগতিতে সেটাকে অনুসরণ করে, আর তিনিই সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি (সৃষ্টি করেছেন এবং) সবই তাঁর আজ্ঞার অনুগামী। জেনে রাখ, সৃজন ও নির্দেশ কেবল তাঁরই জন্য; জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ অতিশয় প্রাচুর্যময়। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৫২-৫৪)
আয়াতগুলোতে কোরআনের মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. কোরআন জ্ঞান, সুপথ ও আল্লাহর অনুগ্রহের ধারক। তাই মুমিনের জীবনে সাফল্য পেতে কোরআনই প্রধান নিয়ামক।
২. কোরআনে জ্ঞানীর জন্য আছে জ্ঞানের খোরাক এবং সাধারণ মানুষের জন্য আছে সবিস্তার জীবন বিধান।
৩. কোরআন ও কোরআনের বিধান তথা দ্বিনের ব্যাপারে বিমুখতার পরিণতি ভয়াবহ জাহান্নাম।
৪. আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ ছয় দিনে মহাজগৎ সৃষ্টি করেন এবং সপ্তম দিন তথা শুক্রবার আসরের পর আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন।
৫. আল্লাহ আরশের ওপর সমাসীন।
তবে এ ক্ষেত্রে মানুষের কল্পনায় আকৃতি, উপমা ও শূন্যতার যে চিত্র তৈরি হতে পারে তিনি তা থেকে মুক্ত ও পবিত্র। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৪/১৯২-১৯৫)
নভে. 14 2023
কোরআন থেকে শিক্ষা
وَلَقَدْ جِئْنَاهُمْ بِكِتَابٍ فَصَّلْنَاهُ عَلَىٰ عِلْمٍ هُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ ﴿٥٢﴾
(৫২) এবং নিঃসন্দেহে আমরা তাদের জন্য এমন গ্রন্থ এনেছি, যা আমরা জ্ঞানের ভিত্তিতে বিশদভাবে বর্ণনা করেছি এ অবস্থায় যে, তা বিশ্বাসীদের জন্য পথনির্দেশ ও অনুগ্রহস্বরূপ।
هَلْ يَنْظُرُونَ إِلَّا تَأْوِيلَهُ ۚ يَوْمَ يَأْتِي تَأْوِيلُهُ يَقُولُ الَّذِينَ نَسُوهُ مِنْ قَبْلُ قَدْ جَاءَتْ رُسُلُ رَبِّنَا بِالْحَقِّ فَهَلْ لَنَا مِنْ شُفَعَاءَ فَيَشْفَعُوا لَنَا أَوْ نُرَدُّ فَنَعْمَلَ غَيْرَ الَّذِي كُنَّا نَعْمَلُ ۚ قَدْ خَسِرُوا أَنْفُسَهُمْ وَضَلَّ عَنْهُمْ مَا كَانُوا يَفْتَرُونَ ﴿٥٣﴾
(৫৩) তারা কি শুধু সেই (প্রতিশ্রুত) পরিণামের প্রতীক্ষায় রয়েছে? তবে যেদিন সেই পরিণামের সময় এসে যাবে, সেদিন যারা পূর্ব থেকে তা বিস্মৃত হয়েছিল তারা বলবে, ‘নিঃসন্দেহে আমাদের প্রতিপালকের রাসূলগণ সত্য নিয়ে এসেছিলেন। তবে কি এখন আমাদের কোন সুপারিশকারী আছে যে আমাদের জন্য সুপারিশ করবে? অথবা আমাদের পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে যেন আমরা পূর্বে যা করতাম তা হতে ভিন্ন কিছু করতে পারি?’ নিঃসন্দেহে তারা নিজেদের ক্ষতি সাধন করেছে; এবং তারা যে মিথ্যা আরোপ করত তাও অন্তর্হিত হয়েছে।
إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَىٰ عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ ۗ أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ ۗ تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ ﴿٥٤﴾
(৫৪) নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক সেই আল্লাহ যিনি ছয় দিনে আকাশম-লী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর আরশের ওপর নিজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি রাত দিয়ে দিনকে আচ্ছাদিত করেন যা দ্রুতগতিতে সেটাকে অনুসরণ করে, আর তিনিই সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি (সৃষ্টি করেছেন এবং) সবই তাঁর আজ্ঞার অনুগামী। জেনে রাখ, সৃজন ও নির্দেশ কেবল তাঁরই জন্য; জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ অতিশয় প্রাচুর্যময়। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৫২-৫৪)
আয়াতগুলোতে কোরআনের মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. কোরআন জ্ঞান, সুপথ ও আল্লাহর অনুগ্রহের ধারক। তাই মুমিনের জীবনে সাফল্য পেতে কোরআনই প্রধান নিয়ামক।
২. কোরআনে জ্ঞানীর জন্য আছে জ্ঞানের খোরাক এবং সাধারণ মানুষের জন্য আছে সবিস্তার জীবন বিধান।
৩. কোরআন ও কোরআনের বিধান তথা দ্বিনের ব্যাপারে বিমুখতার পরিণতি ভয়াবহ জাহান্নাম।
৪. আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ ছয় দিনে মহাজগৎ সৃষ্টি করেন এবং সপ্তম দিন তথা শুক্রবার আসরের পর আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন।
৫. আল্লাহ আরশের ওপর সমাসীন।
তবে এ ক্ষেত্রে মানুষের কল্পনায় আকৃতি, উপমা ও শূন্যতার যে চিত্র তৈরি হতে পারে তিনি তা থেকে মুক্ত ও পবিত্র। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৪/১৯২-১৯৫)
By bn • মুস্তাবসেরগণের তাবলীগ 0 • Tags: জগৎসমূহের, জ্ঞানের, রাসূলগণ, সুপারিশ