নবী-রাসুলরা যেভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন

নবী-রাসুলরা যেভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন
নবী-রাসুলরা যেভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন

সব নবী-রাসুলের কোনো না কোনো পেশা ছিল, তাঁরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন না। নবী-রাসুলরা হলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব। তাঁরা শ্রেষ্ঠ উপার্জন তথা স্বহস্তে অর্জিত সম্পদে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

আদম (আ.) ছিলেন একজন কৃষক।

তাঁর ছেলেদের পেশাও ছিল চাষাবাদ। তা ছাড়া তিনি তাঁতের কাজও করতেন। কারো কারো মতে, তাঁর পুত্র হাবিল পশু পালন করতেন।
শিশ (আ.)ও কৃষক ছিলেন।

ইদরিস (আ.)-এর পেশা ছিল কাপড় সেলাই করা। কাপড় সেলাই করে যে অর্থ উপার্জন করতেন তা দিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

নুহ (আ.) ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। আল্লাহ তাআলা তাঁকে নৌকা তৈরির কলাকৌশল শিক্ষা দিয়েছিলেন।

হুদ (আ.)-এর পেশা ছিল ব্যবসা ও পশু পালন।

সালেহ (আ.)-এর পেশাও ছিল ব্যবসা ও পশু পালন।

লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়ের লোকেরা চাষাবাদের সঙ্গে জড়িত ছিল।

ইবরাহিম (আ.) কখনো ব্যবসা আবার কখনো পশু পালন করতেন। ইসমাঈল (আ.) পশু শিকার করতেন।

তিনি ও তাঁর পিতা উভয়ই ছিলেন রাজমিস্ত্রি। পিতা-পুত্র মিলে আল্লাহর ঘর তৈরি করেছিলেন।
ইয়াকুব (আ.)-এর পেশা ছিল ব্যবসা, কৃষি কাজ করা ও পশু পালন।

ইউসুফ (আ.) রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন।

শোয়াইব (আ.)-এর পেশা ছিল পশু পালন ও দুধ বিক্রি।

দাউদ (আ.) যুদ্ধাস্ত্র, লৌহ বর্ম ও দেহবস্ত্র প্রস্তুত করতেন। এগুলো বিক্রি করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

সোলাইমান (আ.) ভিন্ন পেশা গ্রহণ করার চেয়ে নিজ সম্পদ রক্ষা ও তদারকি করতে বেশি মনোযোগী ছিলেন।

মুসা (আ.) ছিলেন একজন রাখাল। হারুন (আ.)-এর পেশাও ছিল পশু পালন। পশু পালন করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

ইলিয়াস (আ.)-এর পেশাও ছিল ব্যবসা ও পশু পালন।

আইয়ুব (আ.)-এর পেশা ছিল গবাদি পশু পালন।

ইউনুস (আ.)-এর গোত্রের পেশা ছিল চাষাবাদ।

জাকারিয়া (আ.) ছিলেন কাঠমিস্ত্রি।

জুলকিফল (আ.)-এর পেশা ছিল পশু পালন।

ইয়াসা (আ.)-এর পেশা ছিল ব্যবসা ও পশু পালন।

মহানবী (সা.) ছিলেন একজন সফল ও সৎ ব্যবসায়ী। তবে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তার মূল মিশনে ছিল মানব জাতীকে হেদায়েত করা। তিনি মহান আল্লাহর সমস্ত সৃষ্টির জন্য রহমত হয়ে এসেছেন।