সর্বশেষ ঐশী নবী কে?

সর্বশেষ ঐশী নবী কে?
সর্বশেষ ঐশী নবী কে?

ইতিহাসের প্রমাণ এবং পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যা অনুসারে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর শেষ রসূল এবং আল্লাহর নবীদের মধ্যে শেষ নবী।
এ প্রসঙ্গে কুরআনে বলা হয়েছে: «ما كان محمّد أبا أحدٍ من رجالكم و لكن رسول الله و خاتم النّبیّین» মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নয়; বরং সে আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।
কিন্তু কেন নবুওয়াতের প্রবাহ হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সাথে শেষ হলো?
যখন বাড়ীর ফুয়ারার পানি দুষিত অথবা অপবিত্র হয়, তখন আমরা সেই ফুয়ারার পানি পরিবর্তন করি। অথবা রাস্তা, বাড়ি, গাড়ি যখন নষ্ট অথবা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন আমরা তা মেরামত করি। নতুন নবীর প্রয়োজন তখনও যখন পূর্ববর্তী নবীর কিতাব বিকৃত হবে অথবা তা আমাদের থেকে আড়ালে থাকবে। যদি কুরআনের একটি শব্দও পরিবর্তন না করা হয় এবং কোন প্রশ্ন উত্তরহীন না থাকে, তাহলে আগের আসমানী কিতাবের মত নতুন কোন নবীর প্রয়োজন নেই, যা আজ যদি আপনি তাওরাত এবং বাইবেলের দিকে তাকান তাহলে আপনি দেখতে পাবেন সেখানে অনেক অযৌক্তিক এবং বিরোধী শব্দ রয়েছে যা পড়লে আপনি লজ্জিত হবেন।
অন্যদিকে, অনেক সময় একজন নিরক্ষর ব্যক্তি দূরে কোথাও সফরে যেতে চায়, তখন তার ওলিতে গলিতে ঠিকানা খুজে বেড়ানো ব্যতীত অন্য কোন উপায় থাকবে না। কিন্তু অন্য একজন শিক্ষিত ব্যক্তি যদি একই পথে যেতে চান এবং আমরা তাকে শহর এবং এর রাস্তাগুলির একটি সাধারণ মানচিত্র দিই, সে নিজেই পথ খুজে নিতে পারবে।
প্রাচীন মানুষ যাদের সমাজ উন্নয়নের স্তরে পৌঁছায়নি, তাদের ওলিতে গলিতে ঠিকানা খোজার প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু যারা উন্নত সমাজে পৌঁছেছে, তাদেরকে যদি একটি সাধারণ মানচিত্র দেওয়া হয়, তাহলে সে সহজেই তার পথ খুঁজে পাবে এবং তাদের জন্য পথপ্রদর্শকের (নবীদের) সরাসরি উপস্থিতির প্রয়োজন নেই। অবশ্যই, আইন ও নির্দেশনা সংরক্ষণের জন্য মাসুম ইমামগণ ও ফকীহদের অস্তিত্ব আবশ্যক।
আরেকটি বিষয় হল যে, পূর্ববর্তী সকল নবীগণ (মুষ্টিমেয় কিছু ব্যতীত) আসমানী গ্রন্থের অধিকারী ছিলেন না এবং বেশিরভাগই তারা মহান নবীদের আদেশ প্রচার করতেন এবং তাদের সকলেই আসমানী গ্রন্থের অধিকারী ছিল এমন নয়।
অতএব, মাসুম ইমামগণ এবং ধার্মিক ইসলামী পণ্ডিতদের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও যারা এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, নবীদের আগমনের প্রয়োজন নেই, কারণ ধর্মীয় আদেশের প্রেরণও ধার্মিক আলেমদের কাছ থেকে আসে। অতএব, আমাদের ইজতিহাদের বিষয়টিকে উপেক্ষা করা উচিত নয় কারণ তারা ন্যায্য আইনবিদগণ, ধর্মের সাধারণ নিয়মগুলি হাতে রেখে, সর্বদা কুরআন ও হাদীস থেকে মহান আল্লাহর বিধান বের করতে পারেন।