যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যায় রেকর্ড

যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যায় রেকর্ডযুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত বছর আত্মহত্যায় রেকর্ড গড়েছে দেশটি। ২০২২ সালে দেশটিতে আত্মহত্যা করেছে ৪৯ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বৃহস্পতিবার দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ডপ্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আত্মহত্যা খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।


সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে মার্কিন স্বাস্থ্য সচিব জেভিয়ার বেসেরা বলেছেন, ‘প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন আমরিকান বিশ্বাস করেন যে, তারা মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছে । ”

সংবাদটির বিশ্লেষণ : স্বপ্নীল স্বর্গরাজ্যে আত্মহত্যার তুমুল হিড়িক !! এ যেন স্বর্গে নরকের যন্ত্রণা !! কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত স্বর্গরাজ্যে দিল নরকের আগুন লাগিয়ে ?
পৃথিবীতে সবচেয়ে উন্নত , স্বর্গরাজ্য ( বেহেশত ) ও স্বপ্নপুরী বলে খ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেন আত্মহত্যার হিড়িক ? কেন সে দেশে আত্মহত্যার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে ? ১৯৪১ সালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার হার ছিল সর্বোচ্চ । সব পাওয়ার দেশে কেন সেই সুদূর ১৯৪১ সাল থেকেই আত্মহত্যা সর্বোচ্চ ছিল ?
বস্তুবাদী শিক্ষা , সংস্কৃতি, কৃষ্টি সভ্যতা , চোখ ধাঁধানো বৈষয়িক উন্নতি ও প্রগতি ইত্যাদি কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদেরকে মানসিক স্বাস্থগত সমস্যা , ভারসাম্যহীনতা ও আত্মহত্যা থেকে বাঁচাতে ও নিরাপদ রাখতে পারছে না ?
কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর আত্মহত্যা খুবই সাধারণ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে ? !
মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন : প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন অর্থাৎ ৯০% মার্কিন নাগরিক বিশ্বাস করে যে তারা মানসিক সমস্যায় ভুগছে !!! তাহলে এ কেমন হতচ্ছাড়া দেশ যে দেশের ৯০% অর্থাৎ অধিকাংশ বাসিন্দাই বলা যেতে পারে যে প্রায় গোটা জাতিটাই মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ? যে দেশের অধিকাংশ জনগণই মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ও ভুক্তভোগী সে দেশের জনগণ নি: সন্দেহে মানসিক শান্তিতে নেই। মানসিক অশান্তিতে থাকা ও ভোগা সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ এমনকি শারীরিক রোগ যন্ত্রণায় ভোগার চাইতেও। আর মার্কিন মুলুকে শারীরিক রোগ যন্ত্রণায়ও মানুষ তীব্রভাবে ভুগছে যার প্রমাণ হচ্ছে করোনায় এক মিলিয়নের অধিক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু এবং প্রতি বছর ভুল চিকিৎসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়‌ ববং এ সংখ্যার চেয়ে তিন চার গুণ বেশি মানুষ ভুল চিকিৎসার কারণে মারাত্মক স্থায়ী শারীরিক ক্ষতিরও শিকার হচ্ছে ! আবার আততায়ীর গোলাগুলিতে প্রতি বছর ২০ হাজারের অধিক মানুষ নিহত হচ্ছে মার্কিন মুলুকে । তাহলে কোথায় গেল মার্কিন মুল্লুকের উল্লুক জনগণের জান ,মাল ও শরীর স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা ?!! আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ সকল শিল্পোন্নত দেশে ৪০% এর অধিক পুরুষ বন্ধ্যাত্ব ও যৌন অক্ষমতারও শিকার। আর এ কারণেই ঐ সব শিল্পোন্নত জাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে পৃথিবী থেকে ( আর মহান আল্লাহ ওদের বিলুপ্ত করুন ! )। তবে পশ্চিমা সভ্যতা যেভাবে ও যে হারে বিশ্বব্যাপী প্রসারিত হচ্ছে ও আধিপত্য লাভ করছে তাতে পৃথিবী ব্যাপী পুরুষের বন্ধ্যাত্ব ও যৌন অক্ষমতা বাড়ছে । আর এমন হতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে গোটা মানবজাতিই পৃথিবী থেকে শুধু এই একটিমাত্র কারণেই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে! আর এ ক্ষেত্রে বিলুপ্ত হওয়ার বাকী কারণ একদম বিবেচনায় আনা হয় নি । আর এ থেকে প্রমাণিত হল যে স্বর্গরাজ্য ও স্বপ্নপুরী বলে জগৎ বিখ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে নরক ও দু:স্বপ্নেরই আখড়া ।
এই হলো পাশ্চাত্য বা আধুনিক শিল্পোন্নত বস্তুবাদী সভ্যতা যা মানুষকে মানসিক সমস্যায় ভোগায় এবং মানুষকে বিশেষ করে পুরুষকে বন্ধ্যা ও যৌন ভাবে অক্ষম ও পঙ্গু করে গোটা মানবজাতিকে চারিত্রিক নৈতিক অধঃপতন ঘটানো সহ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে । আর এত উচ্চহারে ও উচ্চ সংখ্যায় আত্মহত্যা কিসের পরিচায়ক ও নির্দেশক ? আত্মহত্যা তীব্র হতাশা , প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও বিকৃতি এবং যন্ত্রণা বোধ থেকে উৎসারিত। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার এই উচ্চহার ও উচ্চ সংখ্যা প্রমাণ করে যে মার্কিন মুলুকের বাসিন্দারা তীব্র ভাবে হতাশ ও নিরাশ । বিশ্বের সবচেয়ে তথাকথিত উন্নত ও ধনী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে হতাশাগ্রস্ত ও মানসিক সমস্যাক্লিষ্ট দেশও বটে । আর সেই সাথে প্রমাণিত হয় যে মার্কিন জাতি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে হতাশা গ্রস্ত ও নিরাশ জাতি‌ ।
তাহলে এ থেকে কি প্রমাণিত হয় না যে এই পশ্চিমা জগৎ বা পাশ্চাত্য যার চূড়ান্ত বাস্তব বাহ্য রূপ ও নমুনা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী সভ্যতা বস্তা পচা জিনিস ছাড়া আর কিছু কী ?!!! অথচ বিভিন্ন অপশ্চিমা দেশে পশ্চিমাদের ভক্ত ও অনুরক্তরা ( যাদের অধিকাংশই পাশ্চাত্য শিক্ষিত ) এই বস্তা পচা পুঁতি দুর্ঘন্ধময় পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ এবং তারা দেশে দেশে এই বস্তাপচা অমানবিক পাশ্চাত্য সভ্যতা প্রসারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে ? এরা সুস্পষ্ট রূপে চিহ্নিত। তাই এদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ শুধু যুগের ন্যায্য দাবি। আর পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রচলন বাড়লে বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার মতো এ সভ্যতার মারাত্মক সব কুপ্রভাব ও অপকারিতা বাড়তেই থাকবে। তাই সবার উচিত অমানবিক ও পাষাণ এ সভ্যতার প্রসার অবশ্যই ঠেকানো ।

খবর : ” সৌদি আরব কল্পনাতীত বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যায় করে ৭৫ মাইল দীর্ঘ অত্যাধুনিক বিশাল নিওম স্মার্ট মেগাসিটি বানাচ্ছে যেখানে এক ট্রিলিয়ন ডলারের একজোড়া গগনচুম্বী টুইন টাওয়ারও থাকবে । ”
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন :
https://www.unilad.com/news/world-news/neom-saudi-arabia-the-line-mohammed-bin-salman-construction-667064-20230809
এ খবর সংক্রান্ত কিছু বিশ্লেষণ ও কথা :
ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের এমন বিশাল স্বপ্নপুরী নিওম স্মার্ট নগরী প্রোজেক্ট কেন পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের দেশে বাস্তবায়ন না করে বরং তা করাচ্ছে ও বানাচ্ছে সৌদি আরবে ? এ সব প্রোজেক্টের যদি অনেক অনেক ( বহুবিধ ) ফায়দা থেকেই থাকে তাহলে ফায়দাকামী ( কায়েমি স্বার্থবাদী ) পশ্চিমাদের উচিত ছিল নিজ নিজ দেশে এ ধরণের বিশাল স্মার্ট মেগাসিটি প্রোজেক্ট বানানো । কোথাও শোনা যায় নি যে পশ্চিমারা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে এমন স্বপ্নপুরী বানাচ্ছে। সৌদিরা তো আর তা বানাতে পারবে না ; কারণ সৌদিদের সেই টেকনোলজি নেই ; বানিয়ে দিচ্ছে পশ্চিমা ( মার্কিন ও ইউরোপীয় ) কোম্পানিগুলো । আর এই সুযোগে পশ্চিমারা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার নির্মাণ বাবদ হাতিয়ে নেবে সৌদিদের কাছ থেকে। কিন্তু এরপর অত্যাধুনিক স্মার্ট নগরীর ব্যবস্থাপনা বাবদ ভবিষ্যতেও শত শত বিলিয়ন বা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারও হাতিয়ে নেবে নির্মাণকারী পশ্চিমারা প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি সমূহ ( কারণ এত অত্যাধুনিক স্মার্ট শহর ও নগর ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য সৌদিদের নেই )। আর অত্যাধুনিক স্বপ্নীল এ শহর হবে পর্যটন কেন্দ্র এবং এ কারণে তা হবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল । এখানে বিশ্বের বড় বড় পুঁজিপতি ও ধনী লোকেরাই আসবে অবকাশ যাপন ও ফূর্তি বাজি করতে । আর এ ক্ষেত্রেও পশ্চিমারাই হবে সবচেয়ে প্রাধান্য প্রাপ্ত এবং ওদের বেলেল্লাপনা ও অপসংস্কৃতিও সেই সুবাদে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়বে। আর যেহেতু এটা হবে আন্তর্জাতিক পর্যটন নগরী সেহেতু এখানে বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে পশ্চিমা ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর পণ্য সামগ্রীর সয়লাব বয়ে যাবে এবং এতে করে পশ্চিমাদের রপ্তানি বাণিজ্য ও আয় বাড়বে ও চাঙ্গা হবে। অর্থাৎ এ ধরনের উদ্ভট প্রকৃতি বৈরী প্রোজেক্ট বানিয়ে পশ্চিমারা সৌদি ও অন্যান্য তেল সমৃদ্ধ আরবদেশগুলোর তেল বিক্রির সব টাকা হাতিয়ে নেবে বা নিচ্ছে ।
এ ধরনের প্রোজেক্ট সমূহ বিশ্বের প্রকৃতি ও পরিবেশের মারাত্মক দূষণ ও বারোটা বাজাচ্ছে পুরো বিশ্ব জুড়ে। বলা হচ্ছে যে এই নিওম নগরীতে নাকি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শক্তির ব্যবস্থা থাকবে। খোদ এই নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা যে কতটুকু কার্যকর হবে ভবিষ্যতে তা খোদাই ভালো জানেন !! কারণ প্রাচ্য – প্রতীচ্যের শিল্প ও প্রযুক্তি বিশ্ব জুড়ে একের পর এক প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট , প্রকৃতি ও পরিবেশের চরম বিপর্যয় ও মারাত্মক দূষণ ঘটিয়েই চলছে যার কোনো থামা থামি নেই!! সুতরাং এ সব কথায় বিশ্বাস করে ও কান দিয়ে প্রতারিত না হওয়াই কাম্য । আর পশ্চিমারা ও তাদের অনুসারী প্রাচ্য বাসীরাও ( যেমন : চীন , জাপান , কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ইত্যাদি ) ইতিমধ্যে বহু মিথ্যা কথা ও আশ্বাস দিচ্ছে যার অসারত্ব দিন দিন স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জাপান তাদের পারমাণবিক বর্জ প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়ছে যা একাই ভবিষ্যতে গোটা জীব ও প্রাণী জগতের অস্তিত্বকে হুমকির সম্মুখীন করতে পারে। আর এ বর্জ ছাড়ার জন্য চীন , দক্ষিণ কোরিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় জাতিসমূহ তীব্র বিরোধিতা করছে জাপানের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। কিন্তু জাপান ঘুষ দিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার অনুমোদন নিয়ে নিয়েছে। আর ঘুষ খেয়ে ঐ সংস্থাটি বলছে যে জাপানের পারমাণবিক বর্জ নাকি প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য মোটেও হুমকি ও ক্ষতিকর নয় !!!! )
আর উত্তর সৌদি আরবের তাবুক প্রদেশে নিওম নগরী প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের কারণে ঐ অঞ্চলের আসল বাসিন্দাদেরকে তাদের ভিটেমাটি থেকে সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তার মানে এ ধরনের অবাস্তব উদ্ভট ব্যায়বহুল উচ্চাভিলাসী প্রকল্প ও প্রোজেক্ট সমূহ আসল অধিবাসীদের কল্যাণে তো আসেই না বরং তাদের বাপদাদার ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদেরও কারণ হয় । নিওম প্রোজেক্টের কারণে হুওয়াইতাত গোত্র যারা হচ্ছে উত্তর সৌদি আরবের তাবুক অঞ্চলের আসল অধিবাসী ও বাসিন্দা তাদেরকে ঐ অঞ্চল থেকে বলপূর্বক উচ্ছেদ ও বিতাড়িত করা হয়েছে এবং এ কারণে সেখানে মানবাধিকার লংঘন ও বেশ মানবিক বিপর্যয় পর্যন্ত ঘটেছে। কিন্তু মানবাধিকারের ধ্বজাধারী পশ্চিমা দেশগুলো এবং তাদের তাবেদার মানবাধিকার সংস্থাগুলো মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। কারণ এ নিয়ে চিল্লাচিল্লি ও উচ্চবাচ্য করলে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ও অজস্র অর্থ সম্পদ সব কিছু ভেস্তে যাবে !! তাই দেখা যায় যে ডিক্টেটর এবং পশ্চিমা উচ্চাভিলাসী সরকার ও শাসকদের এ ধরণের বহু উদ্ভট প্রকল্প ও প্রোজেক্টের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিলিয়ন মিলিয়ন সাধারণ মানুষকে বলির পাঠা হতে হয়েছে বা হচ্ছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তমহাদেশীয় রেললাইন বসানোর মতো বিভিন্ন ধরণের তথাকথিত জাতীয় উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড ও প্রকল্প বাস্তবায়নের বাহানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , কানাডা ,অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর ইউরোপে রেড ইন্ডিয়ান, অ্যাবোরিজিন্যাল , সামী ও এস্কিমোদের মতো আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার বহু অজস্র নজির বিদ্যমান রয়েছে। এ সব উদ্ভট স্বপ্নীল প্রকল্প ও প্রোজেক্ট প্রকৃতি ও পরিবেশ বৈরী হওয়ার পাশা পাশি চরম অমানবিক বটে ।
আসলে স্বপ্নীল সৌদি নিওম নগরী প্রোজেক্টকে নাইয়ূম ( نیّوم ) প্রোজেক্টও বলা উচিত । ( নাইয়ূম: যে খুব ঘুমায় সে , অত্যধিক নিদ্রা মগ্ন ও নিদ্রায় আচ্ছন্ন যে তার পক্ষে জাগ্রত হওয়া খুবই মুশকিল ও কষ্টসাধ্য অর্থাৎ মৃত সদৃশ ঘুমন্ত ব্যক্তি । ) নিওমকে এ কারণে নাইয়ূম বলা হল যে বিশ্বজুড়ে এ ধরণের উদ্ভট প্রোজেক্ট সমূহ বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববাসী মৃত্যু ঘুমে আচ্ছন্ন হয়েই পড়বে ।

ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান