কেন যুব সমাজ ধার্মিক ও ইসলামী লোকদের মতো হতে চায় না??

কেন যুব সমাজ ধার্মিক ও ইসলামী লোকদের মতো হতে চায় না??
কেন যুব সমাজ ধার্মিক ও ইসলামী লোকদের মতো হতে চায় না??

হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়েদ মুহাম্মাদ বাকের হুসাইনী বলেছেন :

আপনারা কি জানেন, কেন যুব সমাজ – যারা এই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে – ধার্মিক, ইসলামী লোকদের মতো হতে চায় না??

এর কারণ হলো যে সে বলতে চায় : তুমি যে ধরে নিলাম খুবই ইসলামী হয়েছো, কী এমন আনন্দে আছো যে আমাকে তোমার মতো বানাতে চাও??! তুমি যে এতোদিন ইসলাম পালন করলা তোমার প্রফুল্লতা, উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস, প্রাণবন্ততা, প্রাণশক্তি কোথায়?? কতটুকু এনার্জি ও মনোবল অর্জন করেছো যে এখন চাও আমাকেও ইসলামী বানাতে??

আমি বলতে চাই যে যুবক জেনারেশন দ্বীন ইসলামের পথে আসে না এটা আসল সমস্যা নয়! আসল সমস্যা হলো আমরা দ্বীন ইসলাম পালন করা পরহেযগার লোকেরা নিজেরাই এই ধর্ম পালনের মাধ্যমে গভীর ও স্থায়ী আনন্দে ও প্রফুল্লতায় মাতোয়ারা থাকি না, কোন স্পেশাল আনন্দ উপভোগ করতে পারি না, আমরা নিজেরাই প্রশান্তি পাই না!!

তাই আমাদের প্রথম কাজ হলো : আমরা নিজেরা ইসলামের গভীর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, দ্বীন-ধর্ম পালনের মাধ্যমে গভীরভাবে আনন্দিত থাকবো, প্রকৃতভাবে প্রাণবন্ততায় ও প্রশান্তিতে পৌঁছাবো। ইসলাম পালন‌ করার প্রভাবে আমরা এমন প্রফুল্ল থাকবো যে আমাদের চেহারাগুলোই ফুলের মতো প্রস্ফুটিত হয়ে থাকবে!!

তখন এই ইয়ং জেনারেশন বলবে : এই ধার্মিক লোকেরা ইসলাম পালনের মাধ্যমে কী এনজয়-টাই না করছে!! চলো আমরাও ওদের মতো হয়ে যাই… !!

এই বিষয়ে আপনাদেরকে একটা গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ বলবো?

বলেন তো কেন আরবাঈনকে সবাই ভালোবাসে??!

এমনকি দেখতে পাবেন যে অনেক যুবকই এরকম আছে যে তারা সারা বছর মসজিদে যায় না, নামাজ পড়ে না, ধার্মিক না… কিন্তু আরবাঈন আসলেই যেভাবেই হোক কারবালায় পৌঁছে যায়!!

কেন??

কারণ সে দেখে যে যারাই কারবালায় যায়, তারা এমন আনন্দ পায়, এতো এনজয় করে যে তাদের চেহারা ফুলের মতো প্রস্ফুটিত হয়ে থাকে! যারাই আরবাঈনে কারবালায় গিয়েছে তাদের অনুভূতিগুলো অনেক আনন্দের, তারা অনেক খুশী, তারা প্রশান্তিতে পৌঁছেছে, তারা গভীর আনন্দকে আস্বাদন করে এসেছে!!

এই যুবক যখন এটা লক্ষ্য করে তখন সে বলে যে : তাইলে আমিও এটা চাই!!

আমাদের ধার্মিকদেরকে তাই শুধু আরবাঈনের ক্ষেত্রে না, বরং জীবনের সব ক্ষেত্রে ইসলামের প্রতিটি নিয়ম পালনের পরে আরবাঈনের মতোই গভীর আনন্দের অনুভূতি আস্বাদনের স্তরে পৌঁছতে হবে এবং গভীর প্রফুল্লতায় ও প্রকৃত প্রশান্তিতে পৌঁছতে হবে, এনার্জিতে ভরপুর হতে পারতে হবে, প্রকৃতভাবে আনন্দ উপভোগ করতে হবে যেন বাকীরাও এই আনন্দ ও উচ্ছ্বাস উপভোগ করার নেশায় ইসলামের দিকে চলে আসে!