عن الرضا ( ع ) عن علي بن أبي طالب ( ع) قال : لَا دِینَ لِمَنْ دَانَ بِطَاعَةَ الْمَخْلُوْقِ فِيْ مَعْصٍیَةِ الْخَالِقِ .
ইমাম রেযা ( আ ) হযরত ইমাম আলী ( আ ) থেকে বর্ণনা করেছেন: তিনি ( হযরত আলী – আ -) বলেন : ঐ ব্যক্তির ধর্ম নেই যে স্রষ্টার ( খালেক্ব ) বিরুদ্ধাচরণ ( নাফরমানী ও মা’সিয়াত ) করার ক্ষেত্রে সৃষ্টির ( মাখলূক ) অনুসরণ করে।
( দ্রঃ শেখ সাদূক্ব্ প্রণীত উয়ূনু আখবারির্ রেযা , খ :২ , পৃ : ৫৫ )
قال الرضا ( ع) : لَا تَمَلَّ مِنَ الدُّعَاءِ فَإِنَّهُ مِنَ اللّٰهِ بِمَکَانٍ …..
ইমাম রেযা (আ) :
দুআ ( প্রার্থনা ) করা থেকে ক্লান্ত হয়ো না । কারণ মহান আল্লাহর কাছে এই দুআর ( প্রার্থনা কারীর ) এক বিশেষ মর্যাদা ও স্থান রয়েছে….. ।
[ দ্রঃ আল – আরবাঈন হাদীসান ( চল্লিশ হাদীস ), পৃ : ২৮ ]
ইমাম রেযার (আ) মাজযায়ে শরীফ ( পবিত্র কবর ) যিয়ারতের ফযীলত :
ইমাম রেযা (আ) বলেন :
مَنْ زَارَنِيْ عَلَیٰ بُعْدِ دَارِيْ ، أَتَیْتُهُ یَوْمَ الْقِیَامَةِ فِيْ ثَلَاثِ مَوَاطِنَ حَتَّیٰ أُخْلِصَهُ مِنْ أَهْوَالِهَا : إِذَا تَطَایَرَتِ الْکُتُبُ یَمِیْنَاً وَ شِمَالاً ، وَ عِنْدَ الْمِیْزَانِ .
যে কেউ আমার পরিবার ( ও গৃহ ) থেকে দূরে বিদেশ বিভূঁইয়ে ( নৌগানের সানাবাদ অর্থাৎ বর্তমান মাশহাদ নগরী ) আমাকে যিয়ারত করবে কিয়ামত দিবসে এর বিভীষিকা ও ভয়ভীতি সমূহ থেকে তাকে নাজাত দেওয়ার জন্য ( অতি সংবেদনশীল) তিন জায়গা ও স্থানে তাকে সাহায্য করব । ঐ তিন জায়গা ( স্থান ) বা মূহুর্তে : ১. মানবজাতিকে তাদের ডান বা বাম হাতে আমলনামা দেওয়ার স্থান ও মূহুর্তে , ২. পুল সিরাতে এবং ৩. মানুষের আমল পরিমাপ ও যাচাই করার স্থানে ।
( দ্রঃ বিহারুল আনওয়ার , খ : ১০২ , পৃ : ২৩ )
ইমাম রেযা (আ) বলেন :
সময় ( রাত ও দিন ) গত হতে না হতেই ( অর্থাৎ অতি শীঘ্রই ) তূস [ মাশহাদ নগরী যেখানে হযরত ইমাম রেযার ( আ ) মাযার অবস্থিত ও বিদ্যমান ] আমার অনুসারী ও যিয়ারত কারীদের আগমন স্থলে ( আসাযাওয়ার স্থান অর্থাৎ যিয়ারত গাহ্ ) পরিণত হবে। জেনে রাখ যে যে ব্যক্তি তূসে অর্থাৎ আমার প্রবাস ও নির্বাসনে ( বিদেশ – বিভূঁইয়ে ) আমাকে যিয়ারত করবে কিয়ামত দিবসে তার গুনাহ – খাতা মাফ করে দেওয়া হবে এবং সে আমার সাথে আমার জায়গা ও স্থানে অবস্থান করবে।
قال الرضا (ع) : من زارني علیٰ بُعد داري ، أتیته یوم القیامة في ثلاث مواطن حتی أُخْلٍصَهُ من أهوالها : إذا تطایرت الکتب یمیناً و شمالاً ، و عند الصراط و عند المیزان .
( দ্রঃ আল – ওয়াসাইল , খ : ১০ , পৃ : ৪৩৮ )
ইমাম রেযা (আ) :
ما زارنی أحد من أولیائي ، عارفاً بحقّي إلا تشفّعتُ له یوم القیامة .
আমার বন্ধুদের মধ্য থেকে কোন ব্যক্তি আমার হক ও অধিকারের ব্যাপারে ( সম্যক ) জ্ঞান ও পরিচিতি নিয়ে আমাকে যিয়ারত করবে তার জন্য আমি কিয়ামত দিবসে শাফায়াত করব ।
[ দ্রঃ শেখ সাদূক্ব প্রণীত উয়ূনু আখবারির্ রেযা ( আ ) , খ : ২ , পৃ : ৬৩৬ ]
قال الرضا ( ع ) :
إنّ بخراسانَ لَبُقعةً یأتي علیها زمان تصیرُ مختلف ُ الملائکة ….. من زارني في تلک البقعة کان کمن زار رسول الله ( ص ) و کتب الله – تبارک و تعالیٰ – له بذٰلک ثواب ألف حِجّةٍ مبرورةٍ و ألف عمرةٍ مقبولةٍ ، و کنتُ أنا و آبائي شُفعاءَهُ یومَ الْقِیامةٍ
ইমাম আবুল হাসান রেযা (আ) বলেন :
খুরাসানে একটি বুক্ব্’আ ( সমাধিস্থল ) আছে ; এমন এক সময় আসবে যখন তা ফেরেশতাদের আসা যাওয়ার স্থানে ( আগমনস্থল ও যিয়ারতগাহ্ ) পরিণত হবে ……. যে ব্যক্তি আমাকে উক্ত বুক্ব্’আয় ( সমাধিস্থল ) যিয়ারত করবে সে হবে ঐ ব্যক্তির মতো যে হযরত রাসূলুল্লাহকে ( সা ) যিয়ারত করে এবং মহান আল্লাহ – তাবারাক ওয়া তায়ালা – তার জন্য এর দ্বারা ১০০০ মকবূল ( গৃহীত ) হজ্জ ও এক হাজার মকবূল ( গৃহীত) উমরার সওয়াব লিখে নির্ধারণ করে দিবেন।
( দ্রঃ বিহারুল আনওয়ার , খ : ১০২ , পৃ : ২১ )
অনুবাদ : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
আহলুল বাইত (আ) প্রেমিক কবি দে’বাল আল – খুযাঈ হযরত ইমাম রেযার ( আ ) শা’নে মার্ভ নগরীতে যে কাসীদাহ্ পাঠ করেছিলেন এবং ইমাম রেযা (আ) তা খুব পছন্দ করে কবিকে উপঢৌকন দিয়েছিলেন সেই কাসীদাটিতে ইমাম ( আ ) নিম্নোক্ত এ দুটি বাইত ( পংক্তি) যোগ করেন :
وَ قَبْرٍ بِطُوْسٍ یَا لَهَا مِنْ مُصِیْبَةٍ
تَوَقَّدَ فِي الْأَحْشَاءِ بِالْحَرَقَاتِ
إِلَی الْحَشْرِ حَتَّیٰ یَبْعَثَ اللّٰهُ قَائِمَاً
یُفَرِّجُ عَنَّا الْهَمَّ وَ الْکُرُبَاتِ
হায় ! তূসে বিদ্যমান আছে এমন একটি কবর ( সমাধি ) যা [ আহলুল বাইতের (আ) উপর ] মুসীবতের ( আপতিত বিপদ , শোক ও দু:খ কষ্ট ) কারণে
রোয হাশর পর্যন্ত উত্তপ্ত অনল করে রেখেছে প্রজ্জ্বলিত অন্তরসমূহে
ঐ সময় পর্যন্ত ( রইবে তা প্রজ্জ্বলিত) যখন মহান আল্লাহ করিবেন প্রেরণ একজন ক্বায়েমকে [ বিপ্লবী ও কিয়াম কারী নেতা ইমাম মাহদীকে (আ) ]
করিবেন যিনি লাঘব ও দূরীভূত সকল বেদনা ও দু:খ – কষ্ট মোদের [ মহানবীর (সাঃ) আহলুল বাইত ( আ) ] থেকে
( সূত্র : মুন্তাখাবে আদইয়াহ ওয়া যিয়ারাত , পৃ : ৪৮ )
অনুবাদ : ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান,
সেপ্টে. 6 2024
ইমাম রেযার (আ) মাজযায়ে শরীফ ( পবিত্র কবর ) যিয়ারতের ফযীলত
عن الرضا ( ع ) عن علي بن أبي طالب ( ع) قال : لَا دِینَ لِمَنْ دَانَ بِطَاعَةَ الْمَخْلُوْقِ فِيْ مَعْصٍیَةِ الْخَالِقِ .
ইমাম রেযা ( আ ) হযরত ইমাম আলী ( আ ) থেকে বর্ণনা করেছেন: তিনি ( হযরত আলী – আ -) বলেন : ঐ ব্যক্তির ধর্ম নেই যে স্রষ্টার ( খালেক্ব ) বিরুদ্ধাচরণ ( নাফরমানী ও মা’সিয়াত ) করার ক্ষেত্রে সৃষ্টির ( মাখলূক ) অনুসরণ করে।
( দ্রঃ শেখ সাদূক্ব্ প্রণীত উয়ূনু আখবারির্ রেযা , খ :২ , পৃ : ৫৫ )
قال الرضا ( ع) : لَا تَمَلَّ مِنَ الدُّعَاءِ فَإِنَّهُ مِنَ اللّٰهِ بِمَکَانٍ …..
ইমাম রেযা (আ) :
দুআ ( প্রার্থনা ) করা থেকে ক্লান্ত হয়ো না । কারণ মহান আল্লাহর কাছে এই দুআর ( প্রার্থনা কারীর ) এক বিশেষ মর্যাদা ও স্থান রয়েছে….. ।
[ দ্রঃ আল – আরবাঈন হাদীসান ( চল্লিশ হাদীস ), পৃ : ২৮ ]
ইমাম রেযার (আ) মাজযায়ে শরীফ ( পবিত্র কবর ) যিয়ারতের ফযীলত :
ইমাম রেযা (আ) বলেন :
مَنْ زَارَنِيْ عَلَیٰ بُعْدِ دَارِيْ ، أَتَیْتُهُ یَوْمَ الْقِیَامَةِ فِيْ ثَلَاثِ مَوَاطِنَ حَتَّیٰ أُخْلِصَهُ مِنْ أَهْوَالِهَا : إِذَا تَطَایَرَتِ الْکُتُبُ یَمِیْنَاً وَ شِمَالاً ، وَ عِنْدَ الْمِیْزَانِ .
যে কেউ আমার পরিবার ( ও গৃহ ) থেকে দূরে বিদেশ বিভূঁইয়ে ( নৌগানের সানাবাদ অর্থাৎ বর্তমান মাশহাদ নগরী ) আমাকে যিয়ারত করবে কিয়ামত দিবসে এর বিভীষিকা ও ভয়ভীতি সমূহ থেকে তাকে নাজাত দেওয়ার জন্য ( অতি সংবেদনশীল) তিন জায়গা ও স্থানে তাকে সাহায্য করব । ঐ তিন জায়গা ( স্থান ) বা মূহুর্তে : ১. মানবজাতিকে তাদের ডান বা বাম হাতে আমলনামা দেওয়ার স্থান ও মূহুর্তে , ২. পুল সিরাতে এবং ৩. মানুষের আমল পরিমাপ ও যাচাই করার স্থানে ।
( দ্রঃ বিহারুল আনওয়ার , খ : ১০২ , পৃ : ২৩ )
ইমাম রেযা (আ) বলেন :
সময় ( রাত ও দিন ) গত হতে না হতেই ( অর্থাৎ অতি শীঘ্রই ) তূস [ মাশহাদ নগরী যেখানে হযরত ইমাম রেযার ( আ ) মাযার অবস্থিত ও বিদ্যমান ] আমার অনুসারী ও যিয়ারত কারীদের আগমন স্থলে ( আসাযাওয়ার স্থান অর্থাৎ যিয়ারত গাহ্ ) পরিণত হবে। জেনে রাখ যে যে ব্যক্তি তূসে অর্থাৎ আমার প্রবাস ও নির্বাসনে ( বিদেশ – বিভূঁইয়ে ) আমাকে যিয়ারত করবে কিয়ামত দিবসে তার গুনাহ – খাতা মাফ করে দেওয়া হবে এবং সে আমার সাথে আমার জায়গা ও স্থানে অবস্থান করবে।
قال الرضا (ع) : من زارني علیٰ بُعد داري ، أتیته یوم القیامة في ثلاث مواطن حتی أُخْلٍصَهُ من أهوالها : إذا تطایرت الکتب یمیناً و شمالاً ، و عند الصراط و عند المیزان .
( দ্রঃ আল – ওয়াসাইল , খ : ১০ , পৃ : ৪৩৮ )
ইমাম রেযা (আ) :
ما زارنی أحد من أولیائي ، عارفاً بحقّي إلا تشفّعتُ له یوم القیامة .
আমার বন্ধুদের মধ্য থেকে কোন ব্যক্তি আমার হক ও অধিকারের ব্যাপারে ( সম্যক ) জ্ঞান ও পরিচিতি নিয়ে আমাকে যিয়ারত করবে তার জন্য আমি কিয়ামত দিবসে শাফায়াত করব ।
[ দ্রঃ শেখ সাদূক্ব প্রণীত উয়ূনু আখবারির্ রেযা ( আ ) , খ : ২ , পৃ : ৬৩৬ ]
قال الرضا ( ع ) :
إنّ بخراسانَ لَبُقعةً یأتي علیها زمان تصیرُ مختلف ُ الملائکة ….. من زارني في تلک البقعة کان کمن زار رسول الله ( ص ) و کتب الله – تبارک و تعالیٰ – له بذٰلک ثواب ألف حِجّةٍ مبرورةٍ و ألف عمرةٍ مقبولةٍ ، و کنتُ أنا و آبائي شُفعاءَهُ یومَ الْقِیامةٍ
ইমাম আবুল হাসান রেযা (আ) বলেন :
খুরাসানে একটি বুক্ব্’আ ( সমাধিস্থল ) আছে ; এমন এক সময় আসবে যখন তা ফেরেশতাদের আসা যাওয়ার স্থানে ( আগমনস্থল ও যিয়ারতগাহ্ ) পরিণত হবে ……. যে ব্যক্তি আমাকে উক্ত বুক্ব্’আয় ( সমাধিস্থল ) যিয়ারত করবে সে হবে ঐ ব্যক্তির মতো যে হযরত রাসূলুল্লাহকে ( সা ) যিয়ারত করে এবং মহান আল্লাহ – তাবারাক ওয়া তায়ালা – তার জন্য এর দ্বারা ১০০০ মকবূল ( গৃহীত ) হজ্জ ও এক হাজার মকবূল ( গৃহীত) উমরার সওয়াব লিখে নির্ধারণ করে দিবেন।
( দ্রঃ বিহারুল আনওয়ার , খ : ১০২ , পৃ : ২১ )
অনুবাদ : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
আহলুল বাইত (আ) প্রেমিক কবি দে’বাল আল – খুযাঈ হযরত ইমাম রেযার ( আ ) শা’নে মার্ভ নগরীতে যে কাসীদাহ্ পাঠ করেছিলেন এবং ইমাম রেযা (আ) তা খুব পছন্দ করে কবিকে উপঢৌকন দিয়েছিলেন সেই কাসীদাটিতে ইমাম ( আ ) নিম্নোক্ত এ দুটি বাইত ( পংক্তি) যোগ করেন :
وَ قَبْرٍ بِطُوْسٍ یَا لَهَا مِنْ مُصِیْبَةٍ
تَوَقَّدَ فِي الْأَحْشَاءِ بِالْحَرَقَاتِ
إِلَی الْحَشْرِ حَتَّیٰ یَبْعَثَ اللّٰهُ قَائِمَاً
یُفَرِّجُ عَنَّا الْهَمَّ وَ الْکُرُبَاتِ
হায় ! তূসে বিদ্যমান আছে এমন একটি কবর ( সমাধি ) যা [ আহলুল বাইতের (আ) উপর ] মুসীবতের ( আপতিত বিপদ , শোক ও দু:খ কষ্ট ) কারণে
রোয হাশর পর্যন্ত উত্তপ্ত অনল করে রেখেছে প্রজ্জ্বলিত অন্তরসমূহে
ঐ সময় পর্যন্ত ( রইবে তা প্রজ্জ্বলিত) যখন মহান আল্লাহ করিবেন প্রেরণ একজন ক্বায়েমকে [ বিপ্লবী ও কিয়াম কারী নেতা ইমাম মাহদীকে (আ) ]
করিবেন যিনি লাঘব ও দূরীভূত সকল বেদনা ও দু:খ – কষ্ট মোদের [ মহানবীর (সাঃ) আহলুল বাইত ( আ) ] থেকে
( সূত্র : মুন্তাখাবে আদইয়াহ ওয়া যিয়ারাত , পৃ : ৪৮ )
অনুবাদ : ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান,
By bn • মুস্তাবসেরগণের প্রবন্ধ এবং মতামত 0