মহানবী (সা.) এর বাণী থেকে ‘রমজান’

মহানবী (সা.) এর বাণী থেকে ‘রমজান’
মহানবী (সা.) এর বাণী থেকে ‘রমজান’

রমজান মাস সম্পর্কে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হাদিসগুলোর মধ্যে একটি হল শা’বান মাসের শেষ শুক্রবারের মহানবী (সা.) এর বিখ্যাত খুতবা, যাতে তিনি এ মাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন।

এই খুতবায় বলা হয়েছে যে রমজান হল সেই মাস যে মাসে মানুষকে আল্লাহর ভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়; এ মাসে কদরের রাত রয়েছে এবং তা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। আল্লাহ এ মাসে রোজা ফরজ করেছেন এবং এ মাসের এক রাতে জেগে থাকা ও নামাজ পড়াকে অন্য মাসের সত্তর রাতের নামাজের সমান করেছেন। যে কেউ এই মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের নিয়তে নেক ও কল্যাণকর কাজ করবে তাকে এমন একজনের সওয়াব দেওয়া হবে যে সে আল্লাহর নির্ধারিত একটি ওয়াজিব কাজ সম্পন্ন করেছে এবং তাকে সত্তরটি ওয়াজিব কাজের সওয়াব দেওয়া হবে। এই মাসটি ধৈর্যের মাস এবং ধৈর্যের প্রতিদান আল্লাহর জান্নাত। এ মাস  সহানুভূতির মাস; আর এটি সেই মাস যে মাসে আল্লাহ তার মুমিন বান্দাদের রিজিক বৃদ্ধি করবেন। যে ব্যক্তি একজন রোজাদার মুমিনকে এই মাসে ইফতারের জন্য আমন্ত্রণ জানায়, যদিও তা অল্প পরিমান দুধ বা কয়েকটি খেজুর দিয়েই হয়, তার সওয়াব বান্দার মুক্তি এবং অতীতের গুনাহ মাফের সমান। রমজান এমন একটি মাস যার শুরু রহমত, মাঝখানে মাগফিরাত এবং এর শেষ হল প্রার্থনার উত্তর এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।

মহানবী (সা.) হতে ইমাম আলী (আ.) বলেন, রমজান বরকত, রহমত ও ক্ষমার মাস এবং আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম মাস এবং এর দিনগুলি সর্বোত্তম দিন এবং এর রাতগুলি সর্বোত্তম রাত এবং এর ঘন্টাগুলি সেরা ঘন্টা এ মাসে বেহেশতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মহিমান্বিত এই মাসে মুমিনদের নিঃশ্বাস, তাদের ঘুমও ইবাদত হিসেবে গনিত হয়, তাদের আমল কবুল করা হয় এবং তাদের দোয়া কবুল হয়। এই খুতবার ধারাবাহিকতায় নবী মুমিনদেরকে এ মাসে তাদের ক্ষুধা ও তৃষ্ণার সাথে কিয়ামতের দিনের ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কথা স্মরণ করতে, গরীব-দুঃখীকে দান-খয়রাত করতে, বড়দের সম্মান করতে, ছোটদের প্রতি দয়া করতে বলেছেন। তাদের উচিত আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, কথা বলার ক্ষেতে সচেতন হওয়া, যা কিছু দেখতে আল্লাহ নিশেধ করেছে, সেগুলো না দেখা এবং যা শোনার অনুমতি আল্লাহ দেননি, সেগুলো না শোনা। এছাড়াও নবী করিম (সা.) এই মাসে সকল প্রকার হারাম কাজ পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।