ইস্তাম্বুলের মসজিদে শরীরচর্চার অনুশীলন

ইস্তাম্বুলের মসজিদে শরীরচর্চার অনুশীলন
ইস্তাম্বুলের মসজিদে শরীরচর্চার অনুশীলন

মসজিদে প্রতিদিন নামাজ পড়তে আসে মুসল্লিরা। নামাজের পর তাদের অনেকে এখন শরীরচর্চা অনুশীলন করে। প্রতিদিন জোহর ও আসর নামাজের পর ১৫ মিনিট পর্যন্ত এমন অভিনব দৃশ্য দেখা যায় তুরস্কের ইস্তাম্বুল প্রদেশের বাগসিলার জেলায়। এখানকার ১১টি মসজিদে শুরু হওয়া ফিটনেস প্রকল্পে সব বয়সের মুসল্লি অংশ নেয়।
নাঈম কাসেম: আল-আকসা তুফান ইহুদিবাদের পতনের সূচনা করেছেআবদুল হামিদ হান মসজিদে দেখা যায়, দুপুরে নামাজ শেষ করে মুসল্লিরা ক্রীড়া প্রশিক্ষকের দিকে ফেরে। প্রশিক্ষকের গতিবিধি অনুসরণ করে তারা সোজা দাঁড়ায়। এরপর হাঁটু উঁচু করে এবং দুই পাশের কাঁধ ঘুরাতে থাকে। কিছুক্ষণ লাফিয়ে স্থির হয় তারা।

তাদের চেহারায় থাকে নিঃশব্দ হাসি ও লাজুক দৃষ্টি।
মসজিদের এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী আরিসি বলেন, ‘মানুষ অনেকটা যানবাহনের মতো। ঠিক যেমন গাড়ির মেরামত প্রয়োজন হয়, তেমনি আমরা যখন খেলাধুলা করি তখন আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উন্নতি ঘটে।’ অংশগ্রহণকারী ৭৫ বছর বয়সী হুসেইন কায়া বলেন, ‘শরীরের প্রতিটি অংশ নাড়াতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

শরীরের এ অনুশীলন নিজের মধ্যে অন্য রকম অনুভূতি তৈরি করে।’
ফিটনেস প্রশিক্ষক ফাতিহ ইয়ামানোগলু বলেন, ‘ভবিষ্যতে আঘাত এড়াতে ও জীবনকে সহজ করতে বয়স্ক পুরুষদের জন্য দৈনন্দিন রুটিন যথেষ্ট। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩৫ জন মুসল্লি দুপুরে ও বিকেলে নামাজের পর শরীরচর্চার অনুশীলন করেন।’

মসজিদের ইমাম বুলেন্ট সিনার বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত যে আমার মসজিদ এখন সমাজের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে নামাজ পড়ার পাশাপাশি ফিটনেস সচেতন সবার আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমন অনুশীলনের পর সবার ইবাদত আগের চেয়ে সুন্দর হয়। সবাই সহজে নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করাতে পারেন।’ উদ্যোগটি তুরস্কের ৯০ হাজার মসজিদেও হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।