“তোমরা সমস্ত নামাজের প্রতি যত্মবান হবে,বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজকে (জোহরের নামাজকে) সযত্নে রক্ষা করবে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে।” (২:২৩৮)
“যদি তোমরা শত্রু বা বিপদের আশঙ্কা কর তখন তোমরা পদচারী বা আরোহী অবস্থাতেই নামাজ পড়বে। যদি তোমরা নিরাপদ বোধ কর,তবে আল্লাহকে স্মরণ করবে যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন,যা তোমরা জানতে না।” (২:২৩৯)
মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য উপযুক্ত ও নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ জরুরী। যদি কেউ পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হয়,তাহলে সে দুর্বল বা অসুস্থ হয়ে পড়বে। তেমনি আমাদের আত্মার উন্নতি ও পূর্ণতার জন্য স্রষ্টা অর্থাৎ মহান আল্লাহর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা দরকার। আর এজন্যেই আহার গ্রহণের মত নামাজও দিনে কয়েকবার আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে আমাদের শরীর ও আত্মা সমানতালে পূর্ণতা লাভ করে এবং আমাদের আত্মা অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হয়ে সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। তাই এই আয়াতে নামাজের বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। এমনকি যুদ্ধ-বিগ্রহের সময়ও এই ফরজ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যুদ্ধের সময় নামাজকে স্বাভাবিক অবস্থার মত আদায় করা সম্ভব নয় বলে ইসলাম বিকল্প পন্থাও দেখিয়ে দিয়েছে।
এই আয়াত থেকে আমরা যা শিখলাম তা হলো:
নামাজ সব সময়ই মানুষের জন্য দরকার। এমনকি যুদ্ধের সময়ও তা বাদ দেয়া যাবে না। নামাজের কারণে যুদ্ধের ময়দানে প্রতিরক্ষার কাজে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় না। বরং নামাজ মুজাহিদদেরকে শারীরিক ও মানসিক মনোবল যোগায়।
“তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়,তারা তাদের স্ত্রীদের জন্য এই অসিয়ৎ করবে যে,তাদেরকে যেন এক বছর পর্যন্ত ভরণ-পোষণ দেয়া হয় এবং ঘর থেকে বের করে দেয়া না হয়। কিন্তু তারা যদি নিজেরাই চলে যায় এবং নিজেদের জন্য উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেয়,তবে এর জন্য তোমাদের কোন দোষ নেই,আল্লাহ মহাপরাক্রান্ত,বিজ্ঞানময়।”(২:২৪০)
তালাকপ্রাপ্তা নারীদের সম্মানজনকভাবে ভরণ-পোষণ করা ধর্মভীরু স্বামীদের কর্তব্য। (২:২৪১)
এভাবে আল্লাহ তাঁর নিদর্শন স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন,যাতে তোমরা বুঝতে পার।” (২:২৪২)
এই আয়াতে পুনরায় পরিবার বিষয়ে ইসলামের স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেসব স্ত্রীর স্বামী মারা গেছে বা তালাকপ্রাপ্ত হয়েছে,তাদের সম্পর্কে প্রথম নির্দেশ হলো,যদি স্ত্রী মৃত স্বামীর সম্মানার্থে এক বছর পর্যন্ত বিয়ে না করে ও স্বামীর ঘরে থাকতে চায়,তাহলে তাকে উপযুক্ত পন্থায় ভরণ-পোষণ করতে হবে এবং তাকে তার স্বামীর ঘর থেকে বের করে দেয়ার অধিকার কারো নেই। আর চারমাস দশদিন ইদ্দত বা বৈধব্য পালনের পর যদি স্ত্রী অন্য কোন পুরুষকে বিয়ে করতে চায়,তাহলে সেক্ষেত্রেও স্ত্রীকে বাধা দেয়ার অধিকার কারো নেই। বরং ইদ্দতের পর স্ত্রী তার নতুন স্বামী নির্বাচনে সম্পূর্ণ স্বাধীন। এরপর বলা হয়েছে,মুমিন স্বামীরা যেন বিচ্ছেদের সময় স্ত্রীকে মোহরানা দেয়া ছাড়াও তাকে নিজ সামর্থ অনুযায়ী অর্থ সাহায্য দেয় যাতে তার দুঃখ ও মানসিক তিক্ততা কিছুটা কমে যায়।
এই আয়াত থেকে আমরা যা শিখতে পারি তার সার সংক্ষেপ হলো-
প্রথমত: ইসলাম ধর্ম পরিবারে নারীর অধিকার রক্ষার উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পরও নারীর ভরণ-পোষণ এমনকি তালাকের পরও সম্মানজনকভাবে নারীর ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়ত : নারী (বিধবা/তালাকপ্রাপ্তা) তার উপযুক্ত স্বামী নির্বাচনের ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং পরিবারে মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
“তুমি কি তাদেরকে দেখনি মৃত্যুর ভয়ে যারা হাজারে হাজারে ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। আল্লাহ তাদেরকে বলেছিলেন তোমাদের মৃত্যু হোক,(এরপর তাদের মৃত্যু হলো) আল্লাহ তাদেরকে জীবিত করেছিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল,কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।” (২:২৪৩)
“তোমরা আল্লাহর পথে সংগ্রাম কর এবং জেনে রাখ তিনি শ্রবণকারী,মহাজ্ঞানী।” (২:৪৪)
এই আয়াতে এমন একটি জাতির কাহিনী বলা হয়েছে- যারা নিজেদের ধর্ম রক্ষার জন্য শত্রুদের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত ছিল না এবং মৃত্যুর ভয়ে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মৃত্যু যে শুধু যুদ্ধ ক্ষেত্রেই হয় না এটা যে কোন স্থানেই সম্ভব তা বোঝানোর জন্য আল্লাহ তাদের মৃত্যু ঘটিয়ে পুনরায় জীবিত করেন,যাতে ভবিষ্যতে মানুষ এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়। এরপর মুসলমানদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে,এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নাও,মনে রেখ যুদ্ধ থেকে পালানোর অর্থ মৃত্যু থেকে পালানো নয়। বরং যুদ্ধ থেকে পালানোর কারণেই তোমাদের ওপর আল্লাহর শাস্তি বা মৃত্যু নেমে আসতে পারে। তাই আল্লাহর ধর্মের শত্রুদের বিরূদ্ধে সংগ্রাম কর। আর মনে রেখো,যুদ্ধের ফলে তোমাদের যেসব কষ্ট হয়,আল্লাহ তা জানেন এবং যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে আল্লাহ পুরস্কৃত করবেন।
এই দুই আয়াত থেকে আমরা যা শিখলাম তার সারাংশ হলো-
প্রথমত : পরকালে মৃত মানুষকে জীবিত করা অসম্ভব কোন বিষয় নয়। আল্লাহ এ পৃথিবীতেই মৃত বিষয়কে অনেকবার জীবিত করেছেন।
দ্বিতীয়ত : ধর্ম যুদ্ধ থেকে হয়তো পালিয়ে যাওয়া সম্ভব,কিন্তু আল্লাহর সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করার চেষ্টা অর্থহীন।
তৃতীয়ত : আল্লাহর ধর্ম রক্ষার জন্য জিহাদ বা ইসলামী বিধান অনুযায়ী যুদ্ধের লক্ষ্য দেশের সীমান্ত বৃদ্ধি করা নয় বা শক্তি-প্রদর্শন কিংবা বলপূর্বক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাও নয়।
জানু. 19 2024
সূরা বাকারাহ;(৬০তম পর্ব)
সূরা বাকারাহ’র ২৩৮ ও ২৩৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক বলেছেন-
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ (২৩৮) فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا فَإِذَا أَمِنْتُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُمْ مَا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ
“তোমরা সমস্ত নামাজের প্রতি যত্মবান হবে,বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজকে (জোহরের নামাজকে) সযত্নে রক্ষা করবে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে।” (২:২৩৮)
“যদি তোমরা শত্রু বা বিপদের আশঙ্কা কর তখন তোমরা পদচারী বা আরোহী অবস্থাতেই নামাজ পড়বে। যদি তোমরা নিরাপদ বোধ কর,তবে আল্লাহকে স্মরণ করবে যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন,যা তোমরা জানতে না।” (২:২৩৯)
মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য উপযুক্ত ও নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ জরুরী। যদি কেউ পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হয়,তাহলে সে দুর্বল বা অসুস্থ হয়ে পড়বে। তেমনি আমাদের আত্মার উন্নতি ও পূর্ণতার জন্য স্রষ্টা অর্থাৎ মহান আল্লাহর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা দরকার। আর এজন্যেই আহার গ্রহণের মত নামাজও দিনে কয়েকবার আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে আমাদের শরীর ও আত্মা সমানতালে পূর্ণতা লাভ করে এবং আমাদের আত্মা অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হয়ে সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। তাই এই আয়াতে নামাজের বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। এমনকি যুদ্ধ-বিগ্রহের সময়ও এই ফরজ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যুদ্ধের সময় নামাজকে স্বাভাবিক অবস্থার মত আদায় করা সম্ভব নয় বলে ইসলাম বিকল্প পন্থাও দেখিয়ে দিয়েছে।
এই আয়াত থেকে আমরা যা শিখলাম তা হলো:
নামাজ সব সময়ই মানুষের জন্য দরকার। এমনকি যুদ্ধের সময়ও তা বাদ দেয়া যাবে না। নামাজের কারণে যুদ্ধের ময়দানে প্রতিরক্ষার কাজে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় না। বরং নামাজ মুজাহিদদেরকে শারীরিক ও মানসিক মনোবল যোগায়।
এরপর ২৪০ থেকে ২৪২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لِأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِي مَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ مِنْ مَعْرُوفٍ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ (২৪০) وَلِلْمُطَلَّقَاتِ مَتَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ حَقًّا عَلَى الْمُتَّقِينَ (২৪১) كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آَيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
“তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়,তারা তাদের স্ত্রীদের জন্য এই অসিয়ৎ করবে যে,তাদেরকে যেন এক বছর পর্যন্ত ভরণ-পোষণ দেয়া হয় এবং ঘর থেকে বের করে দেয়া না হয়। কিন্তু তারা যদি নিজেরাই চলে যায় এবং নিজেদের জন্য উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেয়,তবে এর জন্য তোমাদের কোন দোষ নেই,আল্লাহ মহাপরাক্রান্ত,বিজ্ঞানময়।”(২:২৪০)
তালাকপ্রাপ্তা নারীদের সম্মানজনকভাবে ভরণ-পোষণ করা ধর্মভীরু স্বামীদের কর্তব্য। (২:২৪১)
এভাবে আল্লাহ তাঁর নিদর্শন স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন,যাতে তোমরা বুঝতে পার।” (২:২৪২)
এই আয়াতে পুনরায় পরিবার বিষয়ে ইসলামের স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেসব স্ত্রীর স্বামী মারা গেছে বা তালাকপ্রাপ্ত হয়েছে,তাদের সম্পর্কে প্রথম নির্দেশ হলো,যদি স্ত্রী মৃত স্বামীর সম্মানার্থে এক বছর পর্যন্ত বিয়ে না করে ও স্বামীর ঘরে থাকতে চায়,তাহলে তাকে উপযুক্ত পন্থায় ভরণ-পোষণ করতে হবে এবং তাকে তার স্বামীর ঘর থেকে বের করে দেয়ার অধিকার কারো নেই। আর চারমাস দশদিন ইদ্দত বা বৈধব্য পালনের পর যদি স্ত্রী অন্য কোন পুরুষকে বিয়ে করতে চায়,তাহলে সেক্ষেত্রেও স্ত্রীকে বাধা দেয়ার অধিকার কারো নেই। বরং ইদ্দতের পর স্ত্রী তার নতুন স্বামী নির্বাচনে সম্পূর্ণ স্বাধীন। এরপর বলা হয়েছে,মুমিন স্বামীরা যেন বিচ্ছেদের সময় স্ত্রীকে মোহরানা দেয়া ছাড়াও তাকে নিজ সামর্থ অনুযায়ী অর্থ সাহায্য দেয় যাতে তার দুঃখ ও মানসিক তিক্ততা কিছুটা কমে যায়।
এই আয়াত থেকে আমরা যা শিখতে পারি তার সার সংক্ষেপ হলো-
প্রথমত: ইসলাম ধর্ম পরিবারে নারীর অধিকার রক্ষার উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পরও নারীর ভরণ-পোষণ এমনকি তালাকের পরও সম্মানজনকভাবে নারীর ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়ত : নারী (বিধবা/তালাকপ্রাপ্তা) তার উপযুক্ত স্বামী নির্বাচনের ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং পরিবারে মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
এরপর ২৪৩ ও ২৪৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ مُوتُوا ثُمَّ أَحْيَاهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ (২৪৩) وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
“তুমি কি তাদেরকে দেখনি মৃত্যুর ভয়ে যারা হাজারে হাজারে ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। আল্লাহ তাদেরকে বলেছিলেন তোমাদের মৃত্যু হোক,(এরপর তাদের মৃত্যু হলো) আল্লাহ তাদেরকে জীবিত করেছিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল,কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।” (২:২৪৩)
“তোমরা আল্লাহর পথে সংগ্রাম কর এবং জেনে রাখ তিনি শ্রবণকারী,মহাজ্ঞানী।” (২:৪৪)
এই আয়াতে এমন একটি জাতির কাহিনী বলা হয়েছে- যারা নিজেদের ধর্ম রক্ষার জন্য শত্রুদের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত ছিল না এবং মৃত্যুর ভয়ে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মৃত্যু যে শুধু যুদ্ধ ক্ষেত্রেই হয় না এটা যে কোন স্থানেই সম্ভব তা বোঝানোর জন্য আল্লাহ তাদের মৃত্যু ঘটিয়ে পুনরায় জীবিত করেন,যাতে ভবিষ্যতে মানুষ এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়। এরপর মুসলমানদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে,এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নাও,মনে রেখ যুদ্ধ থেকে পালানোর অর্থ মৃত্যু থেকে পালানো নয়। বরং যুদ্ধ থেকে পালানোর কারণেই তোমাদের ওপর আল্লাহর শাস্তি বা মৃত্যু নেমে আসতে পারে। তাই আল্লাহর ধর্মের শত্রুদের বিরূদ্ধে সংগ্রাম কর। আর মনে রেখো,যুদ্ধের ফলে তোমাদের যেসব কষ্ট হয়,আল্লাহ তা জানেন এবং যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে আল্লাহ পুরস্কৃত করবেন।
এই দুই আয়াত থেকে আমরা যা শিখলাম তার সারাংশ হলো-
প্রথমত : পরকালে মৃত মানুষকে জীবিত করা অসম্ভব কোন বিষয় নয়। আল্লাহ এ পৃথিবীতেই মৃত বিষয়কে অনেকবার জীবিত করেছেন।
দ্বিতীয়ত : ধর্ম যুদ্ধ থেকে হয়তো পালিয়ে যাওয়া সম্ভব,কিন্তু আল্লাহর সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করার চেষ্টা অর্থহীন।
তৃতীয়ত : আল্লাহর ধর্ম রক্ষার জন্য জিহাদ বা ইসলামী বিধান অনুযায়ী যুদ্ধের লক্ষ্য দেশের সীমান্ত বৃদ্ধি করা নয় বা শক্তি-প্রদর্শন কিংবা বলপূর্বক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাও নয়।
By bn • একেশ্বরবাদীদের মধ্যে ঐক্য 0 • Tags: আয়াত, আল্লাহ, ইসলাম, জীবিত, ধর্ম, নারী, পুরস্কৃত, মহাজ্ঞানী, মহিলা, যুদ্ধ, সারাংশ