মুসলিম বন্ধুদের নীতি-নৈতিকতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের ছায়াতলে উগান্ডার তরুণী

মুসলিম বন্ধুদের নীতি-নৈতিকতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের ছায়াতলে উগান্ডার তরুণী
মুসলিম বন্ধুদের নীতি-নৈতিকতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের ছায়াতলে উগান্ডার তরুণী

২০১৮ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক পবিত্র কোরআন পুরস্কার প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত হলেন ২৬ বছর বয়সী উগান্ডার এক তরুণী।

দুবাই চেম্বারে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০০ জনেরও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে।

মঙ্গলবার রাতে দুবাই চেম্বারে উপস্থিত বিশাল শ্রোতাদের সামনে মনিকা ওহ-হায়াত নামে ওই তরুণী কালেমা শাহাদাত পাঠ করেন। কালেমা পাঠ করার সময় তিনি অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।

এসময় সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ মুখস্থ করা হাফেজদের অনুপ্রেরণায় নও মুসলিম এই তরুণী অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে যান। পরে প্রতিযোগিতার আরবিট্রেশন কমিটির সদস্য ড. হাসান আহমেদ আবু নায়ার ইসলাম ও বিশ্বাসের প্রধান স্তম্ভ সম্পর্কে ওই তরুণীকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

মনিকা ওহ-হায়াত জানান, তার পূর্বপুরুষরা মুসলিম ছিলেন এবং তার কিছু চাচাত ভাই-বোনদের মধ্যে এখনো অনেকে মুসলমান আছেন। তিনি তাদের নীতি-নৈতিকতা এবং জীবনধারায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, ‘আমার সব বন্ধুই মুসলিম এবং ইসলাম সম্পর্কে তারা আমার অন্তরকে আলোকিত করেছেন এবং আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার এই ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠানে ধর্মান্তরের জন্য তারা পরামর্শ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ইসলাম গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম।’

মনিকা আরো জানান, তিনি তার জীবনে প্রথমবারের মতো হিজাব এবং ইসলামি পোশাক ‘আবায়া’ পরতে পেরে অনেক আনন্দিত।

তিনি বলেন, ‘আমার ধর্মান্তরের পর আমার কাছে মনে হচ্ছে যেন আমি নতুন করে জন্ম নিয়েছি এবং নামাজ আদায়, রোজা পালনসহ ইসলামের সকল শিক্ষা সম্পর্কে আমি শিখতে চাই। একই সঙ্গে পবিত্র রমজানের বাকি দিনগুলোতে রোজা পালন করতে চাই।’

উপস্থিত মিশরীয় নাগরিক মোহাম্মদ আল আশকার জানান, পবিত্র কোরআন প্রতিযোগিতার এই অনুষ্ঠানে এই নারীর ধর্মান্তরের সময় তিনি তার অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি।

তিনি বলেন, ‘সরাসরি কারো ধর্মান্তরে সাক্ষী হতে পারাটা সত্যিই উৎসাহব্যাঞ্জক ও হৃদয়গ্রাহী ছিল। অন্যদিকে, পবিত্র কুরআনের সুস্পষ্ট ও সুরক্ষিত পাঠের মাধ্যমে কিশোর-তরুণরা শ্রোতাদেরকে বিমোহিত করেছেন।’

পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ আশরাফ জানান, তিনি গত ১০ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার সব সংস্করণের যোগদান করেছেন।

নও মুসলিম ওই তরুণীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি সত্যিই উৎসাহব্যাঞ্জক একটি মুহূর্ত এবং আমি মনে করি এটি পবিত্র কুরআনের একটি অলৌকিকতা।’