নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা.
নাহজ আল-বালাঘা.

মুল্যবান গ্রন্থটি ডাউনলোড করতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।

নাহজ আল-বালাঘা

আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ রজব অর্থাৎ ২৩ হিজরী – পূর্ব সনের ১৩ রজব শুক্রবার জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি রাসূলের (সা.) চাচা আবু তালিবের পুত্র। রাসূল (সা.) দাদা আবদুল মুত্তালিব মৃত্যু বরণ করার পর তার শৈশব ও কৈশরে চাচা আবি তালিব তাকে অতি যত্নে লালন – পালন করেছিলেন। হযরত খাদিজাকে (রা.) বিয়ে করার পর হতে রাসূলের (সা.) আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এসেছিল। এসময় আরবে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়ার কারণে আবি তালিবের সংসারের অসচ্ছলতার কথা বিবেচনা করে রাসূল (সা.) শিশু আলীকে তার সংসারে এনে পরম যত্নে লালন – পালন করতে লাগলেন। এমনিতেই জন্মের পর হতে আলীর (আ.) প্রতি রাসূলের (সা.) অগাধ ভালবাসা ছিল। এখন নিজের সংসারে এনে তিনি আলীকে নিজের মনমত করে গড়ে তুলতে লাগলেন। ফলে আলী (আ.) রাসূলের (সা.) আচার , আচরণ ও আখলাক রপ্ত করে এক সুমহান চরিত্রের অধিকারী হয়েছেন। তিনি ছিলেন রেসালত প্রকাশ – পূর্ব সময় হতে রাসূলের (সা.) সার্বক্ষণিক সহচর। তাই তিনি দাবী করে বলেছেন হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় আমি ও খাদিজা ব্যতীত আর কোন সাহাবা রাসূলকে (সা.) দেখেনি ” । রেসালাত প্রকাশের সাথে সাথেই তিনি রাসূলের বক্তব্যে ইমান এনে তাকে আল্লাহর রাসূল বলে স্বীকার করেন। কালক্রমে তিনি একজন মহাবীর হিসাবে শুধুমাত্র তাবুকের যুদ্ধ ব্যতীত রাসূলের (সা.) জীবদ্দশায় ইসলামের সকল যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন এবং বিরোধী বাহিনীর বীরগণকে পরাভূত করে ইসলামের ঝান্ডা সমুন্নত রেখেছিলেন । সাহাবাদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচাইতে জ্ঞানী। তাই রাসূল (সা.) বলেছিলেন , আমি জ্ঞানের নগরী এবং আলী তার দরজা্। ” তিনি আরবী ব্যাকরণ শাস্ত্রের প্রবর্তক এবং ইসলামে সর্বপ্রথম লেখক হিসাবে গণ্য । তার পুস্তকের নাম কিতাবে আলী ” ও জামেয়া ” । এতে তিনি সমগ্র দুনিয়ায় যে সব ঘটনা সংঘটিত হবে তার বিবরণ দিয়োছিলেন (দৈনিক ইনকিলাব , ১২জুন , ১৯৯৩) ।